টিকার প্রথম ডোজ ঢাকা বিভাগে বেশি পেয়েছে, ময়মনসিংহে কম: নাগরিক প্ল্যাটফর্ম
ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২২ | ০১:১১ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২ | ০১:১১
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, টিকাদানে কিছুটা হলেও বৈষম্য হয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ ঢাকা বিভাগের মানুষ সবচেয়ে বেশি পেয়েছে। সবচেয়ে কম পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এ থেকে বোঝা যায় যেখানে আয়-ব্যয় সম্পদ কেন্দ্রীভূত সেখানে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তবে দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগ সবচেয়ে এগিয়ে, অন্য বিভাগগুলো পিছিয়ে। টিকা বিতরণের ক্ষেত্রে সংক্রমণ হারের বিষয়টি যুক্ত কিনা সেটা এখানে অবশ্য বিবেচনাযোগ্য। তবে তৃতীয় ডোজ টিকার ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীরা কম পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম’ আয়োজিত এক মূল্যায়ন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অতিমারি দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের উপর এবং এসডিজি সূচকগুলোর উপর কী প্রভাব ফেলেছে তার মূল্যায়ন তুলে ধরতে এ সভার আয়োজন করে প্ল্যাটফর্মটি। দেশের ৪০ জন গবেষকের সঙ্গে আলোচনা করে এই মূল্যায়ন তৈরি করেছে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধি ফাতেমা ইউসুফ। আর সভাপতিত্ব করেন হেলথ ওয়র্কের প্রধান ডক্টর মোস্তাক রেজা চৌধুরী।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এসডিজির এমন কোনো অভিষ্ট নেই যেখানে এই অতিমারির নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তবে প্রথাগতভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের উপরে এই প্রভাব অনেক বেশি। নতুনভাবে যারা পিছিয়ে পড়েছে তাদের উপর অনেক প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, অতিমারির প্রভাবকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে কম মাত্রা, মাঝারি মাত্রা ও উচ্চমাত্রা। গবেষণায় দেখা গেছে কম মাত্রার কোনো প্রভাব নেই। মাঝারি মাত্রায় প্রভাব ৫৭ শতাংশ আর উচ্চমাত্রার প্রভাবের হার ৪৩ শতাংশ ।
তিনি বলেন এই প্রভাব অন্তত তিন বছর থাকবে। তিন বছরের বেশিও হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক শিশু, চর, হাওর অঞ্চলের মানুষ, আদিবাসী, দলিত ও প্রতিবন্ধীদের উপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সামগ্রিক বিবেচনায় অতিমারি অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। এর পরেই প্রভাব পড়েছে সামাজিক, সুশাসন ও পরিবেশের ওপর।