- অর্থনীতি
- পিছিয়ে সবুজ অর্থায়ন ও বিনিয়োগ
পিছিয়ে সবুজ অর্থায়ন ও বিনিয়োগ

প্রতীকী ছবি
পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রকল্পে অর্থায়ন ও বিনিয়োগ প্রকৃত উদ্যোগ খুবই কম। ব্যাংক অর্থায়নের দেড় শতাংশেরও কম অর্থায়ন হচ্ছে সবুজ প্রকল্পে। এ বিষয়ে শিল্প উদ্যোক্তারা যেমন সচেতন নন, তেমনি সচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেই। সবুজ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রণোদনা হিসেবে পোশাক শিল্প করছাড় পেলেও অন্য শিল্প পাচ্ছে না।
বুধবার 'সবুজ অর্থায়ন ও বিনিয়োগে প্রণোদনা' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন গবেষক ও বিশ্নেষকরা। গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এবং বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
পিআরআইর চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশগত বিপর্যয়ের উচ্চ শঙ্কায় থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে বিশ্বের প্রথম সংসদ হিসেবে বাংলাদেশই প্রথম বৈশ্বিক জলবায়ু সংকটকে 'গ্রহের জরুরি অবস্থা' হিসেবে ঘোষণা করে।
মূল প্রবন্ধে বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মনিকা কুমার জানান, মোট ঋণের অন্তত ৫ শতাংশ সবুজ প্রকল্পে নিশ্চিত করতে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নীতিমালা জারি করে। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরে অর্থায়ন হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০১৮ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সবুজ ভবন, পরিবহন, শহরের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শহরের পানি ব্যবস্থাপনা এবং কৃষিতে বাংলাদেশে প্রায় ১৭২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়নের সুযোগ আছে।
এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসির মনজুর বলেন, সরকার শুধু তৈরি পোশাক খাতের গ্রিন কারখানার জন্য করপোরেট কর ১০ শতাংশ করেছে। অন্য কোনো খাতের কোম্পানি এ সুবিধা পায় না। এ ছাড়া বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো ছোট বলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে সোলার প্যানেল বসানোর মতো জায়গা নেই।
পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সবুজ প্রকল্প অর্থায়নের বড় সমস্যা হচ্ছে, প্রকল্পটি যে 'সবুজ' তা মূল্যায়নের ভালো ব্যবস্থা নেই। মূল্যায়ন না হলে অর্থায়নের সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন