খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ওএমএস কার্যক্রমে ৬৫টি ট্রাক (ট্রাকসেল) বাড়িয়েছে সরকার। তবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নতুন ২০টি ট্রাকে সাড়ে তিন টন করে চাল ও ৫০০ কেজি করে আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০টি সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ট্রাকে তিন টন করে চালের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকে চলমান কার্যক্রমের অতিরিক্ত হিসেবে এসব খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হয়। এর আগে বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এছাড়া গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে চারটি করে ট্রাকে প্রতিদিন ১২ টন চাল এবং চট্টগ্রামে সাতটি, খুলনায় ছয়টি, বরিশালে তিনটি, রংপুরে পাঁচটি ট্রাকের প্রতিটিতে তিনটন করে চাল বিতরণ করা হবে।

বাজারে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি ও করোনাভাইরাস মহামারিতে গরিবের সংখ্যা বাড়লেও খাদ্যশস্য বিতরণের কয়েকটি খাত বন্ধ রয়েছে। ফলে ওএমএসের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। গরিব মানুষ ওএমএসের ট্রাকের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।

কিন্তু অর্থবছর শেষ হওয়ার পাঁচ মাস আগেই ওএমএসের বরাদ্দও প্রায় শেষ হয়ে যায়। এরপর রমজানে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করে গত সোমবার সমকালে ‘গরিবের চালের চাহিদা বাড়ছে, জোগান কমছে' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বুধবার দেশের সব সিটি করপোরেশনে ট্রাকসেলের সংখ্যা ও বরাদ্দ বাড়ানো হয়।

জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওএমএসের জন্য দেড় লাখ টন চাল ও দুই লাখ টন ৬৩ হাজার ১৫৮ টন আটা বরাদ্দ ছিল। ছয় মাসেই এ বরাদ্দ প্রায় শেষ হয়ে যায়। এরপর গত জানুয়ারিতে ফের তিন লাখ টন চাল ও এক লাখ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত বরাদ্দের পরও অর্থবছর শেষ হওয়ার পাঁচ মাস আগেই ৭২ ভাগ চাল শেষ হয়ে যায়। আর আটা শেষ হয় ৮৬ ভাগ। ফলে গত ফেব্রুয়ারিতে ওএমসের আটা বিতরণ কমানো হয়।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর থেকে চাল ও আটার বিক্রি কমানো হয়েছিল। জানুয়ারিতে অতিরিক্ত বরাদ্দের পর বিতরণ বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার থেকে আবার বিতরণ বাড়ানোর ফলে শিগগির বরাদ্দ বাড়ানো হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানুম সমকালকে বলেন, অর্থ সচিবের কাছে ওএমএসের বাজেট বাড়ানোর মৌখিক সম্মতি নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ট্রাকসেলের সংখ্যা ও বরাদ্দ বাড়ানো হলো। রমজানে মানুষের বিশেষ চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।