জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি এক্সপো-২০২২। এই গহনা মেলায় বেশকয়েকটি জুয়েলার্স থেকে গহনা কিনলে ছাড় মিলছে মজুুরিতে। 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) উদ্যোগে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই মেলার আয়োজন করা হয়। দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে গড়া নতুন ডিজাইনের অলঙ্কারের সঙ্গে ক্রেতাদের পরিচয় করিয়ে দিতে প্রথমবারের মত এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

জুয়েলারি মেলার উদ্বোধন করে ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, এই ধরনের মেলার আয়োজন কেউ কখনও কল্পনাও করেনি। এখন এর বাস্তব রূপ দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি এবং বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। বসুন্ধরা গ্রুপ যে জায়গায় হাত দেয় সেখানে সোনা ফলে। এই গ্রুপের নেতৃত্বে ভবিষ্যতে পোশাকের মতো জুয়েলারি শিল্পও রপ্তানিতে নেতৃত্ব দেবে।

এই মেলার মাধ্যমে স্বর্ণ শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া যাবে বলে জানান সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন।

সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি গোলজার আহমেদ বলেন, এই মেলার কারণে বিদেশে থাকা কারিগররাও দেশে ফিরে আসবে। সারাদেশে বাজুসের সদস্য সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে তা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ জুয়েলারি শিল্পের দায়িত্ব নেওয়ায় এ খাতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

মেলায় অংশ নিয়ে রিয়া জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকার সালাহ উদ্দিন বলেন, দেশি গহনা কতটা স্বচ্ছ তা দেখানোর জন্য মেলায় অংশ নেওয়া। ২ ভরি (২২ ক্যারেট) সাড়ে পাঁচ আনা ওজনের একটা নেকলেস বিক্রি হয়েছে তার। মেলায় গহনার মজুরি বাবদ ক্রেতাকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে না বলে জানান তিনি।

মজুরি মওকুফ করে তিন আনা ৪ রতি ওজনের একটা কানের ধুল বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন রহমান জুয়েলার্সের ম্যানেজার অসিত কুমার সাহা।

ডায়মন্ড সেলিব্রেশনসের স্বত্তাধিকার ঢালী মো. লাল্টু বলেন, 'বিদেশের এক্সপোতে গেলে তখন থাকি দর্শক। এখন নিজেরাই প্রদর্শক। বিক্রি না হলেও সন্তুষ্ট। ক্রেতার সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। ভবিষ্যতের জন্য তারা গহনার নানা ডিজাইন পছন্দ করে রাখার সুযোগ পাবে।’

এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে ৬৪টি স্টল। আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।