- অর্থনীতি
- নির্ধারিত দামের চেয়ে ৬-১১ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে চিনি
নির্ধারিত দামের চেয়ে ৬-১১ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে চিনি

প্রতীকী ছবি
গত ছয় মাসেও কার্যকর হয়নি খুচরা পর্যায়ে চিনির বেঁধে দেওয়া দাম। নির্ধারিত দরের চেয়ে ছয় থেকে ১১ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি চিনি। পাইকারি পর্যায়ে দাম বেশি থাকা ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াকে এ জন্য দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আর পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের পর্যায়ে দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির দর বেড়ে যাওয়ায় এবং স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনায় চিনির নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওইদিন সংগঠনটি ঘোষণা করে, প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ৭৪ ও প্যাকেটজাত চিনি ৭৫ টাকা।
সোমবার রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৮ থেকে ৮০ এবং প্যাকেটজাত চিনি ৮৫ থেকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হয়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনির দর বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশ।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, খোলা চিনি বস্তা হিসেবে পাইকারি পর্যায় থেকে কিনতে হয়। এতে কিছু চিনির ঘাটতি হয়। পাইকারিতে চিনির কেজি ৭৬ থেকে ৭৭ টাকা পড়ে যায়। তা ছাড়া আগের চেয়ে পরিবহন খরচ বেড়েছে।
নাখালপাড়ার মহসিন স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. মহসিন বলেন, খোলা চিনিতে কিছু ঘাটতি থাকে। আর প্যাকেটজাত চিনির প্যাকেটে মূল্য লেখা থাকে। কেজিতে এক-দুই টাকার বেশি লাভ করা যায় না। পাইকারিতে বাড়লে খুচরা ব্যবসায়ীদেরও বাধ্য হয়ে বেশি দরে বিক্রি করতে হয়।
বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবুল হাশেম সমকালকে বলেন, পাইকারি পর্যায়ে চিনির কেজি এখন ৭২ টাকা। খুচরা পর্যায়ে তা ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা হতে পারে। এর বেশি হওয়া ঠিক নয়। চিনির সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে। মিল মালিকরা চিনির সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখলে রমজানে কোনো সংকট হবে না। রমজান মাসে সাধারণত চিনির চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর ১৮ লাখ টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রমজানেই প্রয়োজন হয় প্রায় তিন লাখ টন।
চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার আমদানি শুল্ক্কেও ছাড় দিয়েছে। সাধারণ সময়ে চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক্ক আরোপ করা হয়। গত বছরের ১৪ অক্টোবর চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেই শুল্ক্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনে। এটি আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন