ক্রমবর্ধমান পণ্যমূল্য দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪২তম সভার সূচনা বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদদীন এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এ অনুষ্ঠানে তিনি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আগামী বাজেটে আয়কর, মুসক বা ভ্যাটসহ অন্যান্য প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।’ এ অবস্থায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিতে মোট প্রাক্কলিত আমদানি শুল্কের বিপরীতে আনুপাতিক হারে আমদানি শুল্ক রেয়াত দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।

এছাড়া তিনি ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার ন্যূনতম কর তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। কোম্পানি কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ছাড়ের প্রস্তাব করেন। 

এছাড়া আয়কর ও মুসকের আওতা বাড়ানো, সব রপ্তানি খাতকে সমান সুবিধা দেওয়া, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি জোরদার করা, টার্নওভার কর ফিরিয়ে আনা, ভ্যাট আইন সংশোধন করে বাস্তবসম্মত করার প্রস্তাব করেন। 

এসময় তিনি সামগ্রিক অর্থনীতি বিষয়ে কিছু প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কারণে ব্যবসায় সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি ব্যাংক ঋণ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খেলাপি না করার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী, এনবিআরের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন।