টানা সাত দিন শেয়ারের দর ও চার দিন সূচক পতনের পর গত রোববার ছিল বিপরীত চিত্র। বেড়ে ছিল বেশিরভাগ শেয়ারের দর ও সূচক। এর পরদিন গতকাল সোমবার আবার আগের অবস্থায়। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ২৪ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৬১ শতাংশের পতন হয়েছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে প্রায় ২৪ পয়েন্ট।

বাজার-সংশ্নিষ্টরা জানান, অব্যাহত পতনের পর কয়েকদিন নানামুখী শেয়ারদর ও সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখার নানা তৎপরতা ছিল। কিন্তু প্রকৃত সংকটের উন্নতি হয়নি। ফলে ঘুরে-ফিরে দরপতনের ধারায় শেয়ারবাজার।

গতকাল ডিএসইতে ৩৮১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৯১টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৩৪টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫৬টির দর। ডিএসইএক্স সূচক ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ৬৬৩৮ পয়েন্টে নেমেছে। যদিও লেনদেনের শুরুতে রোববারের তুলনায় ১৫ বেড়ে ৬৬৭৭ পয়েন্টে উঠেছিল। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা পর যে দরপতন শুরু হয়, তা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল লেনদেনের মাঝে ১১৯ কোম্পানির শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হয়েছিল। এর মধ্যে ৬৫টি লেনদেনের ওই দরে স্থির থাকে, যা সিংহভাগের কোনো ক্রেতা ছিল না।

গতকাল ৫৫৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু আইপিডিসিরই ৬৮ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ কোটি টাকার বেশি কেনাবেচা হয় বেক্সিমকো লিমিটেডের। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত ছিল লেনদেনে শীর্ষে। এ খাতের ২২ কোম্পানির প্রায় ৯৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ।