লাগাতার দরপতন চলছে শেয়ারবাজারে। অন্যান্য দিনের মতো আজ বুধবারও সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয় এবং লেনদেনের শুরু থেকেই দরপতন চলছে। লেনদেনের প্রথম অর্ধ শেষে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ৩৭৬ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেনে যুক্ত হয়।

এর মধ্যে ২৭৬টিকেই দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। যা লেনদেনে আসা মোট শেয়ারের ৭৩ শতাংশ। যদিও এর ১৫ মিনিট আগে ৩০০ও এ অধিক শেয়ারকে দর হারিয়েছে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এ সময় ৯৫টি শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর সিংহভাগে কোনো ক্রেতা ছিল না। বিপরীতে মাত্র ৫৭ শেয়ার দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল, যা মোটের মাত্র পৌনে ১৫ শতাংশ। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হচ্ছিল ৪৩ শেয়ার।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা শেষে সিংহভাগ শেয়ারের দরপতনে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩৬ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৫৩৭ পয়েন্টে নেমে অবস্থান করছিল। এর আগে দরপতনে ৫০ পয়েন্টের বেশি হারিয়ে সূচকটি ৬৫১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমেছিল।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক হতাশার মধ্যে। চলতি দরপতনের জন্য দরপতন রুখতে নেওয়ার ব্যবস্থাকেই প্রধান কারণ বলছেন তারা।

ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর দরপতন শুরু হলে ৯ মার্চ দরপতন রুখতে সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমা ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ বেধে দিয়েছিল। যদিও দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা আগের মতো ১০ শতাংশে বহাল আছে।

ব্রোকারেজ হাউজ কর্মকর্তারা জানান, নির্দিষ্ট দিনে শেয়ারের যে দর ওঠানামা করে, তার মধ্যে ২ শতাংশ বা তারও বেশি দর হারানো খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কোনো শেয়ারের দর একটু বেশি কমলে নতুন ক্রেতা তৈরি হয়। 

কিন্তু স্বাভাবিক ওঠানামার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির ফলে কোনো শেয়ারের দর ২ শতাংশের বেশি পড়ার সম্ভাবনা আছে কি-না, তা বোঝা যায় না। এ অবস্থায় কেউ বিনিয়োগে ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এ কারণে ক্রয় চাহিদা কমছে। দরপতন স্থায়ী রূপ নিয়েছে।