যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের আরও বিনিয়োগ পেতে বাণিজ্যিক পরিবেশকে উন্নত করতে হবে বাংলাদেশকে। শ্রম অধিকার সুরক্ষা এবং সরবরাহ চেইন আরও নিরবচ্ছিন্ন এবং সুসংহ করার প্রয়োজন রয়েছে।

বুধবার এক সংর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নুতন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ অ্যামচেম নতুন রাষ্ট্রদূতকে এ সংবর্ধনা এবং ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহম্মেদ।

বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে পিটার ডি হাস বলেন, ধারবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ ধরে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশনের (ডিএফসি) তহবিল থেকে সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নশীল দেশের বেসরকারি খাতের অর্থায়নে সহযোগিতা করে থাকে ডিএফসি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত থাকায় সরকার এ ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেনা। সরকারি পর্যায়ে এ সুবিধা পেতে জিএসপি সুবিধা ভোগের শর্ত রয়েছে।

২০১৩ সালে রানাপ্লাজা ধসের পর আন্তর্জাতিক মানের নিরাপদ কর্মপরিবেশ না থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। জিএসপি ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে শ্রম অধিকার এবং কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ১৬ দফা শর্ত দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের দাবি, এসব শর্ত পুরণ করা হয়েছে। তবে জিএসপি এখনও পুনর্বহাল করা হয়নি।