- অর্থনীতি
- শেয়ার দরের সর্বনিম্ন সার্কিট সীমা ৫ শতাংশ নির্ধারণ
শেয়ার দরের সর্বনিম্ন সার্কিট সীমা ৫ শতাংশ নির্ধারণ

শেয়ারদরের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমা ২ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ১০০ টাকার একটি শেয়ার সর্বোচ্চ ৫ টাকা কমে ৯৫ টাকায় কেনা-বেচা করা যাবে। এর আগে ১০০ টাকা শেয়ার সর্বোচ্চ ২ টাকা কমে ৯৮ টাকায় কেনা-বেচা করা যেত।
ব্যাপক সমালোচনার মুখে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন করে এই সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে। বুধবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে বিএসইসি, যা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন থেকে কার্যকর হবে।
নির্দিষ্ট দিনে কোনো শেয়ারের দর ১০ শতাংশ বাড়তে পারলেও ২ শতাংশের বেশি কমার সুযোগ ছিল না। এ কারণে গত কয়েক সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার ক্রেতা শূন্য হয়েছিল। এ কারণে লেনদেন এক বছরের সর্বনিম্ন ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে।
এ পর্যায়ে বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে অবিলম্বে ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকারের নিয়মটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকারের নিয়মে ফিরে যাওয়া বা অন্তত নিচের সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করার পরামর্শ দেন। ওই পরামর্শের পরই এ নিয়মে পরিবর্তন আনল বিএসইসি।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দরপতন শুরুর পর সার্কিট ব্রেকারের নিয়মে সাময়িকভাবে পরিবর্তন এনেছিল বিএসইসি। আগে যেখানে নির্দিষ্ট দিনে কোনো শেয়ার আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় ১০ শতাংশে কম মূল্যে কেনাবেচার সুযোগ ছিল, তা ২ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়।
গত ৯ মার্চের মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইতে চলা বাংলাদেশ বিনিয়োগ রোড-শোর প্রাক্কালে ওইদিন এ নিয়ম কার্যকর করা হয়। যদিও এ পরিবর্তনের অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছিল ৭ মার্চ এবং ৮ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিবর্তের ঘোষণা দেয় বিএসইসি।
দরপতনের মাত্রা কমাতে নেওয়া ওই ব্যবস্থার কারণে প্রথম সপ্তাহে ভালো ফল মিললেও পরে ক্রমাগত খারাপ অবস্থায় পড়ে শেয়ারবাজার। নিচের সার্কিট ব্রেকার সীমা মাত্র ২ শতাংশ হওয়ায় প্রতিদিনই সার্কিট ব্রেকারের নিম্নসীমায় কেনাবেচা হওয়া শেয়ার সংখ্যা বাড়ছিল।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দিনের পর দিন বাজারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। মঙ্গলবার এমন হস্তক্ষেপে শুরুতে ব্যাপক দরপতনের দিনের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছিল ঊর্ধ্বমুখী ধারায়। বুধবার অবশ্য লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের দ্বিতীয়ার্ধে দরবৃদ্ধির হার প্রথম অর্ধের তুলনায় বেড়েছে।
শেষ পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৯ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৬৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৩২টির দর। এতে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএপ ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬৬০৬ পয়েন্টে উঠেছে। মঙ্গলবার সূচক বেড়েছিল ৪৭ পয়েন্ট। আজ ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে প্রায় ৬০৬ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৭ কোটি টাকা বেশি।
মন্তব্য করুন