বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে যা ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছিল। অবশ্য বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি মূলধনে বিদ্যমান ঋণসীমা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে।

এর ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১১ শতাংশ। অবশ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত বেড়েছিল ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত অর্থবছরও প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে অর্জিত হয় ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

সংশ্নিষ্টরা জানান, করোনার পর অনেক ক্ষেত্রে চাহিদা বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্কলনের কাছাকাছি যেতে পারে। আমদানি পণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এক সার্কুলারে বলেছে, চলতি মূলধন ঋণসীমা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। ঋণগ্রহীতার অনুকূলে ইতোমধ্যে মঞ্জুরি করা চলতি মূলধন ঋণসীমা ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বাড়ানো যাবে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ঋণ ঝুঁকি নিরসন এবং গ্রাহকের আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করতে বলা হয়েছে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, গত কয়েক বছর বিনিয়োগ চাহিদা কম ছিল। সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো তা নেমে আসে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ব্যাপক কমে ২০২০ সালের মে মাসে নামে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। তবে পরের মাস জুন থেকে বাড়তে শুরু করে।