সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৩৫টি জেলার ১১২৭ জন অস্বচ্ছল সংস্কৃতিসেবী ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৭ হাজার ২০০ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছেন।

একই কর্মসূচির আওতায় ১০টি জেলার ২০০টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে আইবাসের মাধ্যমে সরাসরি পাঠানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। 

কে এম খালিদ বলেন, যাচাই-বাছাইপূর্বক দেশব্যাপী অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তারপরও কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে যা সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনুদানপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে যাতে সঠিকভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ভাতা/অনুদান জিটুপি পদ্ধতিতে আইবাসের মাধ্যমে সরাসরি প্রেরণের মাধ্যমে সেবার মান ও গতিশীলতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।  

গত বছর ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার-ইএফটির মাধ্যমে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র হতে বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহে অনুদান প্রদান প্রক্রিয়া চালু হয়েছে বলে জানান কে এম খালিদ।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদেরকে ভাতা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে অনুদান প্রদানের নিমিত্ত ‘আর্থিকভাবে অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের ভাতা মঞ্জুরি নীতিমালা’ ও ‘সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অনুদান মঞ্জুরি নীতিমালা’ রয়েছে। 

নীতিমালা মোতাবেক অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত আবেদন ফরমে জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে আবেদন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। 

আগে সংস্কৃতিসেবীদের সরকারি আদেশ (জিও) প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হত। ফলে সময়ক্ষেপণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সঠিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে পুরাতন ৪ হাজার ১৬ জন ও নতুন ১০০ জন সংস্কৃতিসেবীকে এবং প্রায় ১৫০০ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে জিটুপি পদ্ধতিতে আইবাসের মাধ্যমে ভাতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

এ লক্ষ্যে সংস্কৃতিসেবীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নিজ নামে নিবন্ধন হওয়া মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চেক বইয়ের উপরের কভার পেজসহ ব্যাংক হিসাবের তথ্যাদি (ইংরেজি) সব জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়। 

ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট ভাতা-অনুদান প্রদানের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং দ্রুততার সঙ্গে সেবাদান সম্ভবপর হবে বলে দাবি করছে মন্ত্রণালয়।