- অর্থনীতি
- তৈরি পোশাকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
তৈরি পোশাকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

তৈরি পোশাকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেলেও ক্রেতারা সে তুলনায় দাম বাড়ায়নি। তাই তৈরি পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন টিপু মুনশি। সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরে তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে।এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি-২) মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বহুমাত্রিক উন্নতি হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নযনের জন্য শ্রম আইন সংশোধন করে বিশ্বমানের করা হয়েছে। দেশের কারখানাগুলো নিরাপদ ও কর্মবান্ধব হয়েছে। ভবন ও বিদ্যুৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের লিড গ্রীণ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সনদপ্রাপ্ত ১৫৭টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। বিশ্বের প্রথম ১০টি গ্রীন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেই রয়েছে ৯টি। এজন্য দেশের বিনিয়োগকারীরা অনেক বিনিয়োগ করেছেন। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী ক্রেতারা পণ্যমূল্য বাড়াননি।
এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
এর জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যক সম্পর্ক আরও বাড়বে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টি করার জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মতো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে করে সাময়িক ভাবে বাংলাদেশ শুল্ক হারালেও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ লাভবান হবে।
মন্তব্য করুন