- অর্থনীতি
- অধিকাংশ শেয়ারের দর কমার দিনে একযোগে বেড়েছে বীমা খাতের সব শেয়ার
অধিকাংশ শেয়ারের দর কমার দিনে একযোগে বেড়েছে বীমা খাতের সব শেয়ার

প্রতীকী ছবি
টানা সাত দিনের দর বৃদ্ধির পর অষ্টম দিনে এসে অধিকাংশ শেয়ারের দর কমার দিনে বীমা খাতের সব শেয়ার প্রায় একযোগে বেড়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া এ খাতের ৫২ কোম্পানির মধ্যে ৪৬টিরই দর বেড়েছে। শুধু বেড়েছে বললে কম বলা হবে। দর বৃদ্ধির শীর্ষ ৪০ কোম্পানির মধ্যে ৩৮টিই ছিল বীমা খাতের। ৫ থেকে ১০ শতাংশ দর বেড়েছে এসব কোম্পানির।
সার্বিকভাবে শেয়ারের নিম্নমুখী ধারার মধ্যে একযোগে প্রায় সব বীমা কোম্পানির দর বৃদ্ধির কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে বাজার-সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে বীমার শেয়ার দর কম ছিল। এখন দর বাড়ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে কারসাজি চক্রের হাত আছে।
সোমবার খাতওয়ারি লেনদেনে বীমা খাত উঠে এসেছে সবার ওপরে। খাতটির লেনদেন হওয়া ৫২ কোম্পানির প্রায় ১৬৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৬৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বেশি এবং মোট লেনদেনের পৌনে ১৭ শতাংশ। গতকাল ডিএসইতে ৯৭৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। বীমার শেয়ারগুলোর দর একযোগে বাড়লেও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট কমে ৬৪৮৯ পয়েন্টে নেমেছে। যদিও এর আগের সাত কার্যদিবসে সূচকটি বেড়েছিল প্রায় ৩১০ পয়েন্ট। বাজার-সংশ্নিষ্টরা মনে করেন, টানা বৃদ্ধির পর এ পতন সামান্যই। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, টানা অষ্টম দিনে বেশিরভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। তবে দর বৃদ্ধির ধারা খুব বেশি জোরালো ছিল না। লেনদেনের প্রথম পৌনে এক ঘণ্টায় অধিকাংশ শেয়ারের দর বেড়ে যাওয়ায় ডিএসইএক্স সূচক আরও ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬৫২৪ পয়েন্ট ছাড়ায়। এরপর অনেক শেয়ারের দর নিম্নমুখী হলেও সূচক নিম্নমুখী হয়। লেনদেনের শেষ পর্যায়ে সূচকটি দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৪০ পয়েন্ট বা রোববারের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৪৮৪ পয়েন্টে নামে।
দিনের লেনদেন শেষে দেখা যায়, ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া ৩৭৯ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৩০টির দর বেড়েছে, হারিয়েছে ২০৯টি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪০টির। বীমার বাইরে গতকাল ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ শেয়ার দর বেড়েছে। মিশ্র ধারায় ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। এর বাইরে উৎপাদন ও সেবা খাতের বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে। গতকাল লেনদেনের মাঝে মোট ১৩৭ কোম্পানির শেয়ার দিনের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে (২ শতাংশ কমে) কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এমন দরে কেনাবেচা হয় ৭৭ শেয়ার।
মন্তব্য করুন