বাজেট ঘোষণার পর প্রথম কার্যদিবসে দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৮১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৭৫ শতাংশ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৪৩১ পয়েন্টে নেমেছে। সূচক পতনের হার পৌনে ১ শতাংশ। এমনকি বাজেট ঘোষণার দিনের তুলনায় লেনদেনও প্রায় ১২২ কোটি টাকা কমে ৬৩৬ কোটি টাকায় নেমেছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লেনদেনের মাঝে ২২২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড দিনের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে (২ শতাংশ কমে) কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত ওই দরে স্থির ছিল ১৪৪টি। এর কারণ প্রসঙ্গে সংশ্নিষ্টরা বলেন, এবারের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো প্রণোদনা না থাকায় হতাশ বিনিয়োগকারীরা। গত বৃহস্পতিবার দিনের লেনদেন শেষে বাজেট ঘোষণা হলেও লেনদেন চলাকালীন সময়ে বাজেট বিষয়ে অনেক তথ্যই শেয়ারবাজার-সংশ্নিষ্টদের হাতে ছিল। ফলে ওইদিনই নিম্নমুখী ধারা শুরু হয়েছিল।

যদিও ঘোষিত বাজেটে আড়াই শতাংশ করপোরেট করে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু এ তালিকায় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, মোবাইল অপারেট, সিগারেট কোম্পানি নেই। বর্তমানে তালিকাভুক্ত ৩৫০ কোম্পানির মধ্যে ১১৩টিই এ ধরনের কোম্পানি।

এ ছাড়া আইপিও প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার না ছাড়ায় ওয়ালটন হাইটেক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, মারিকো বাংলাদেশ এবং বার্জার পেইন্টস কোম্পানিও আড়াই শতাংশ করছাড়ের আওতায় আসছে না। এ চার কোম্পানি তাদের আয়ের কোনো অংশ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে গ্রহণ করলে অথবা ব্যয় বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১২ লাখ টাকার বেশি ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে খরচ করলে উল্টো করপোরেট কর আড়াই শতাংশ বেড়ে ২৫ শতাংশ হয়ে যাবে।

এই ১১৭ কোম্পানির বাইরে বাকি ২২৩ কোম্পানি শর্তসাপেক্ষে আড়াই শতাংশ করছাড়ের আওতায় আছে। যদি কোম্পানিগুলো তাদের আয়ের কোনো অংশ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে গ্রহণ করে অথবা ব্যয় বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১২ লাখ টাকার বেশি ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে খরচ করে তাহলে এ করছাড় পাবে না।

সংখ্যার বিচারে ২২৩ কোম্পানি শর্তসাপেক্ষে করছাড়ের আওতায় থাকলেও করছাড়ের বাইরে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ারই বেশি। যেখানে তালিকাভুক্ত ৩৫০ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৮২ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা, সেখানে করছাড়ের আওতায় নেই এমন ১১৭ কোম্পানির মূলধন ৫১ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। যা মোটের ৬৩ শতাংশ এবং ফ্লি-ফ্লোট শেয়ারের বিবেচনায় ৬১ শতাংশ।