কোরবানির ঈদের পর পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। গত ২১ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা এক চিঠিতে এ অনুরোধ করেছেন বিটিএ চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কোরবানির ঈদের পর অন্তত ৩০ দিন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে চামড়া যাতে পাচার না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং পুলিশ বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

একই সঙ্গে কোরবানির সময়ে লবণের সরবরাহ ও মূল্য ঠিক রাখা এবং চামড়ায় লবণের সঠিক ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচারনার অনুরোধ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে কাঁচা চামড়া কেনা, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণের হার আরও বাড়লে চামড়া সংগ্রহ দূরূহ হয়ে পড়বে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, কোরবানির ঈদে ১ কোটি ২৫ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহ হয়। এসব চামড়া সংরক্ষণে ৮১ হাজার টন লবণ লাগে। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রায় ৮০০। সারাদেশে থাকা ২৬৬টি চামড়ার বড় আড়ত ও ১ হাজার ৬০০ মাঝারি আড়ত এবং ছোট আকারের আড়তদাররা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব চামড়া সংগ্রহ করে ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেন।