বাংলাদেশে পোলট্রি শিল্পের দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। তবে এ শিল্পের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপদ ও টেকসই উৎপাদন। এ জন্য প্রতিটি খামারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে 'নিরাপদ ও টেকসই পোলট্রি উৎপাদন: প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা' শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রী বলেন, পোলট্রি খাতের নীতিমালা আধুনিক ও সময়োপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খামারে দূষণ হলে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। যাদের বড় খামার আছে, তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে ভোক্তারা পোলট্রি থেকে উৎপাদিত খাদ্যের ওপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। পোলট্রি থেকে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের জন্য শিল্প স্থাপনের ওপর জোর দেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে যেমন বন্ডেড হাউস সুবিধা দেওয়া হয়েছে, ফিড তৈরির কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে পোলট্রিতেও অনুরূপ সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, প্রতিটি খামারে অবশ্যই বর্জ্য নিস্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। অনেক বড় কোম্পানিও রাতের আঁধারে পোলট্রি বর্জ্য এখানে-সেখানে ফেলে আসছে। জীবাণু ছড়াচ্ছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, সেমিনারের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ।