রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবে জমা করা  বৈদেশিক মুদ্রার ৫০ শতাংশ অনতিবিলম্বে নগদায়ন করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে নতুন করে জমা রাখার হার অর্ধেক করা হয়েছে। 

বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্থিতিশিলতা ফেরানোর বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন উদ্যোগের পরও চলতি সপ্তাহে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। গত আগস্টে যা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে ছিল। একই সঙ্গে ডলারের দর বেড়ে আন্তঃব্যাংকে এখন ৯৩ টাকা ৯৫ পয়সায় বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের এ সময়ে যা ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রচলিত ব্যবস্থায় প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয়ের নির্দিষ্ট অংশ ইআরকিউ হিসাবে জমা রাখা যায়। স্থানীয় মূল্য সংযোজনের মাত্রা অনুযায়ী রিটেনশন কোটার হার ১৫ শতাংশ কিংবা ৬০ শতাংশ হতে পারে। আর তথ্য প্রযুক্তি খাতে এই হার ৭০ শতাংশ।

সার্কুলারে ইআরকিউ হিসাবে ধারণ করা বৈদেশিক মুদ্রার অর্ধেক নগদায়নের পাশাপাশি রিটেশন কোটা হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা জমা করার মাত্রা ৫০ শতাংশ কমিয়ে যথাক্রমে সাড়ে ৭ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। আর তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত যা বলবত থাকবে।

বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে কোন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার। এর আগে আমদানি ব্যয় কমাতে গাড়ি, টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণসহ ২৭ পণ্যে শতভাগ এলসি মার্জিন নির্ধারণ করা হয়। আর রপ্তানি বিল পাওয়ার এক দিনেরর মধ্যে নগদায়ন, বিদেশ ভ্রমণে কড়াকড়িসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়।

একজন সিনিয়র ব্যাংকার জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্য আসবে।