বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে। গত জুলাইতে এসে প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে উঠেছে। গত জুন শেষে যা ছিল ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ঋণ চাহিদা বৃদ্ধি এবং নতুন করে কিছু বিনিয়োগসহ বিভিন্ন কারণে এমন হয়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য গত জুলাইতে বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে ঋণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন পর্যন্ত কেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। আগের মুদ্রানীতিতে যা ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ বৃদ্ধির প্রবণতা বিশ্নেষণ করে মুদ্রানীতিতে প্রাক্কলন কিছুটা কমানো হয়। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে বাড়ছে, তাতে প্রাক্কলনের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।

সংশ্নিষ্টরা জানান, করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অধিকাংশ পণ্যের দর বেড়েছে। যে কারণে এখন সব পর্যায়ে খরচ বেড়েছে। এ সময়ে নতুন করে অনেকে বিনিয়োগও করছেন। এসব কারণে গত এপ্রিলে এক নির্দেশনার মাধ্যমে চলতি মূলধন খাতে বিদ্যমান ঋণসীমা বাড়ানোর সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য এ নির্দেশনা কার্যকর করতে বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অবশ্য আমদানি ব্যয় কমাতে গত জুলাইতে কিছু পণ্য আমদানিতে ৭৫ থেকে শতভাগ এলসি মার্জিন নির্ধারণ এবং এসব পণ্যে ঋণ দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। এর পরও ঋণ বেড়ে জুলাইতে স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা।

সংশ্নিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক কয়েক বছর বিনিয়োগ চাহিদা কম রয়েছে। সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো তা নেমে আসে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ব্যাপক কমে ২০২০ সালের মে শেষে প্রবৃদ্ধি নামে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। তবে পরের মাস জুন থেকে একটু করে বাড়তে থাকে।