‘অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) জমি বরাদ্দ নিয়ে অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হবে। তা না করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বুধবার এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বেজার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে ছয় প্রতিষ্ঠানকে ১৭ একর জমি বরাদ্দের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বেজার পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী সদস্য আব্দুল আজিম চৌধুরী। এ ছাড়া হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ডিএমডি মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান, ইফাদ অটোসের এমডি তাসকিন আহমদ, ডার্ড গ্রুপের পরিচালক সেঁজুতি দৌলাহ এবং ইস্ট ওয়েস্ট ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের এমডি মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, একসময় বিসিকের জমি নিয়ে শিল্পকারখানা স্থাপন না করে ভবিষ্যতে দাম বাড়ার আশায় তা রেখে দিতেন অনেকে। ইজেডেও কিছু প্রতিষ্ঠান জমি নিয়ে শিল্প স্থাপন করছে না। চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে যাঁরা শিল্প স্থাপন করেননি তাঁদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেরত নেওয়া হবে জমি। সেই প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইজেডে জমি বরাদ্দ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করে না বেজা। অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গ্যাস-বিদ্যুৎসহ সব সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিনিয়োগের সব সেবা এক জায়গায় দেওয়া হয়। দু-এক জায়গায় দুর্বলতা থাকলেও সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বেজার আওতাধীন বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ বেশ কয়েকটি শিল্পের বাণিজ্যিক উৎপাদন উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসকে আগে ৩০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে এখন ১০ একর জমি দেওয়ার চুক্তি হলো। ৪০ একরে প্রতিষ্ঠানটি ৪০ কোটি ডলার বিনেয়োগ করবে। ওষুধ খাতের রপ্তানিযোগ্য ফরমুলেশন, একটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্টস, পেনিসিলিন ও বায়োটেক পণ্য উৎপাদন করা হবে সেখানে।

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে তিনটি গ্রুপকে জমি বরাদ্দের চুক্তি হয়। এর মধ্যে ইফাদ অটোসকে এক একর দেওয়ার চুক্তি হয়। সেখানে তাঁরা তিন তারকা হোটেল, বিনোদন ও কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ করবে।

ডার্ড গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দের চুক্তি সই হয়েছে। হোটেল, মোটেল, কটেজ ও রিসোর্ট স্থাপন করবে গ্রুপটি। তারা বিনিয়োগ করবে ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ ছাড়া ইস্ট-ওয়েস্ট ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেডকে এক একর জমি দেওয়ার চুক্তি হয়।