চিনি রপ্তানি নিয়ে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়িয়েছে ভারত সরকার। দেশটির বাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চিনি রপ্তানিসংক্রান্ত কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল। এটি আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে চিনি রপ্তানি একেবারে বন্ধ করা হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরের জন্য শিগগিরই নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি রপ্তানির সীমা বা কোটা বেঁধে দিতে পারে ভারত। শনিবার রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কো-অপারেটিভ সুগার ফ্যাক্টরিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকাশ নাকনাভারে রয়টার্সকে জানান, শুক্রবার এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দেশটির সরকার। তিনি বলেন, বিজ্ঞপ্তিটি চিনি রপ্তানিকে সংরক্ষিত ক্যাটাগরির মধ্যে রাখতে শুধু সরকারের নীতির মেয়াদ বৃদ্ধি সম্পর্কিত। এই সিদ্ধান্তের অর্থ এই নয় যে, সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোনো চিনি রপ্তানির অনুমতি দেবে না।

ভারতের বাণিজ্য বিভাগ ও সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি মৌসুমের রপ্তানির কোটা বা নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ভারত ২০২২-২৩ মৌসুমে ৯০ লাখ টন চিনি রপ্তানি করতে পারত। এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন দেশটির রপ্তানিকারকরা।

বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী দেশ ভারত। রপ্তানিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। তবে প্রচুর চিনি উৎপাদন করলেও এর ভোক্তা হিসেবেও অন্যতম শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। সম্প্রতি দেশটির বাজারেও বেড়ে গেছে চিনির দাম।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যেসব দেশ থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করেন ভারত তার অন্যতম। এছাড়া ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশ থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানি করা হয়। দেশে বছরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় চিনিকল থেকে আসে মাত্র ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টনের মতো। অর্থাৎ চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়।