মেইড ইন বাংলাদেশ উইক উপলক্ষে প্রধান ক্রেতাদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন ক্রেতাও ঢাকায় এসেছেন। তাঁদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের রপ্তানি আদেশ আশা করছে বিজিএমইএ। নতুন বাজার হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক অনেক ক্রেতা প্রতিনিধিও এখন ঢাকা সফরে রয়েছেন। শুধু ইরাক থেকেই এসেছেন ৪০ ক্রেতা প্রতিনিধি। গতকাল রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেইড ইন বাংলাদেশ উইকের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজার হিসেবে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, লাতিন আমেরিকারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় অর্থনীতিতে তৈরি পোশাকের অবদান আরও বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে পোশাক রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার একটি পথনকশা নিয়েছেন তাঁরা। এতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিস্যা বর্তমানের দ্বিগুণ হবে। বর্তমান হিস্যা ৮ শতাংশের কিছু কম। এই লক্ষ্য অর্জনে গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ, উৎসে কর আগের মতো শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ উইকের দ্বিতীয় দিনে আজ সোমবার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেল ফেডারেশনের (আইএএফ) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে দিনব্যাপী এই আয়োজনে ব্র্যান্ড, ক্রেতা প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সাবেক ও বর্তমান নেতা ও আইএএফের বিভিন্ন দেশের সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন। এ উপলক্ষে দু'দিন আগেই ঢাকায় এসে পৌঁছান আইএএফ প্রেসিডেন্ট সিম অ্যালটন।

বিশ্বদরবারে পোশাক খাতের ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মতো মেইড ইন বাংলাদেশ উইক নামে মেগা ইভেন্টের আয়োজন করেছে বিজিএমইএ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ এবং জোটের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এই আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া যত দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়, সেসব দেশের ব্র্যান্ড এবং ক্রেতা প্রতিনিধিরাও অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে ১৬০ দেশে যায় বাংলাদেশের পোশাক।

আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের কাছে পোশাক খাতের সক্ষমতা তুলে ধরতে বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে ক্রেতাদের। এ ছাড়া এই উপলক্ষে এক সঙ্গে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা অ্যাপারেল সামিট, ঢাকা অ্যাপারেল এক্সপো, বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো, সাসটেইনেবল ডিজাইন অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস ও সাসটেইনেবল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস। এ ছাড়া মেইড ইন বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডস নামে আলাদা ইভেন্টসহ আরও বেশ কিছু আয়োজন রয়েছে এতে।