রাজধানীর নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপে টেকসই নগরায়ণবান্ধব উদ্যোগ থাকলেও, আবাসন শিল্পের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে মনে করছেন আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা। রোববার রাজধানীর মতিঝিলে রিয়েল এস্টেট ও হাউজিং-বিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় কয়েকজন উদ্যোক্তা এমন মত দেন।

এফবিসিসিআই ভবনে আয়োজিত সভায় তাঁরা বলেন, নতুন ড্যাপে রাস্তার প্রশস্ততার অনুপাতে ফ্লোর এরিয়া রেশিও নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আগে প্রশস্ত রাস্তা না থাকলেও ৮ থেকে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা যেত, এখন করা যাবে চার থেকে পাঁচ তলা। এ কারণে কম প্রস্থের রাস্তার পাশের জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বৈষম্যের শিকার হবেন আবাসন ব্যবসায়ীরাও। এ অবস্থায় আবাসন শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে। এ ছাড়া আগে রাজধানীতে জমির নিবন্ধন ফি নির্ধারণ হতো মৌজার দর অনুযায়ী। নতুন ড্যাপে তা হবে বাজারমূল্য অনুযায়ী, যা আবাসন শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আবাসন খাতের সংকট নিয়ে সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে আবাসন ব্যবসায়ীদের ড্যাপ বিষয়ে গভীর বিশ্নেষণ করতে হবে। টেকসই নগরায়ণ নিশ্চিতে ড্যাপকে বাস্তবতার আলোকে সমন্বয় করতে রাজউকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ এবং রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ড্যাপে বেশকিছু ভালো দিক রয়েছে। তবে কিছু জটিলতা থেকে গেছে। এসব বিষয়ে সমাধানে রাজউক, সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কারণ আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সহযোগী হয়ে কাজ করবে।

এফবিসিসিআইর সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে আবাসন খাতের অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে রিহ্যাবের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে নির্মাণসামগ্রীর উচ্চ মূল্যের কারণে এমনিতেই সংকটে রয়েছে আবাসন খাত। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ড্যাপ নিয়ে শঙ্কা। আবাসন ব্যবসায়ীরা ড্যাপের বিরুদ্ধে নন। তাঁদের আপত্তি কেবল টেকসই নগরায়ণ এবং আবাসন খাতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু বিষয় নিয়ে।