প্রথম দিনেই ইসলামী ৫ ব্যাংকের ধার ৪ হাজার কোটি টাকা
ফাইল ছবি
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:৫৮ | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ | ১২:৫৮
ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ তারল্য সুবিধার আওতায় ধার নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাঁচটি ব্যাংক নিল চার হাজার কোটি টাকা। প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো অনেক আগে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার নিতে পারলেও ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর সে সুযোগ ছিল না। তবে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারের মাধ্যমে রেপোর আদলে ধার নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
সুকুক বন্ড সিকিউরিটি রেখে ১৪ দিন মেয়াদে ধার নিতে পারবে এসব ব্যাংক। এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যাংকগুলোর তিন মাস মেয়াদি আমানতের সমান মুনাফা দিতে হবে।
দেশে বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ শরীয়াহভিত্তিক ১০টি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংক হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, আইসিবি ইসলামী, শাহ্জালাল ইসলামী, এক্সিম ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। এর মধ্যে কয়েকটি ব্যাংক থেকে নানা অনিয়মের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। এ অবস্থায় আমানতকারীদের অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ আমানত উত্তোলন করছেন। যে কারণে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধারের প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য বিভিন্ন মেয়াদি বিল ও বন্ড রয়েছে। এর মধ্যে ৯১, ১৮২ ও ৩৬৪ দিন মেয়াদি সরকারি বিল রয়েছে। আর ২, ৫, ১০, ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদি বন্ড রয়েছে। সুদভিত্তিক হওয়ায় এসব বিল ও বন্ডে শরিয়াহভিত্তিক কোনো ব্যাংক অংশ নিতে পারে না। এ রকম পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে দেশে প্রথমবারের মতো সুকুক বন্ড প্রবর্তন হয়। সুকুক বন্ডের বিপরীতে বাজার থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি প্রচলিত ধারার ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ যে কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ বন্ড কেনার সুযোগ পেয়েছে।
- বিষয় :
- বাংলাদেশ ব্যাংক
- ইসলামী ব্যাংক