- অর্থনীতি
- এভাবে দামের চক্করে আর কতদিন
এভাবে দামের চক্করে আর কতদিন

শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে চাল আমদানিতে শুল্ক্ক প্রত্যাহারের সময়সীমাও। তবে এসবের সুবাতাস নেই চালের বাজারে। উল্টো গত এক সপ্তাহে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে প্রধান খাদ্য শস্যটির দাম। আরেক খাদ্যপণ্য আটার দামেও রয়েছে হতাশার খবর। কয়েক দফা বেড়ে চালের দামকেও ছাড়িয়েছে আটা। নতুন করে খোলা আটা কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা পর্যন্ত। চাল-আটার এই ঊর্ধ্বগতিতে বাড়তি চাপে পড়েছেন স্বল্প ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। ফলে আগের চেয়ে কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কেউ কেউ। এভাবে দামের চক্করে আর কতদিন- বাজারে এখন এমন প্রশ্ন ক্রেতার মুখে মুখে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে এক দোকান থেকে ২৫ কেজি চাল কেনেন বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল হাসান। চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে একরাশ হতাশা নিয়ে এক নাগাড়ে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দামের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। বলেন, 'ভাই এই বছরটাতেই মনে হয় জিনিসপত্রের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বেতন তো বাড়ল না এক পয়সা। কম না কিনে এখন আর উপায় নেই। ধানের ভরা মৌসুমেও ২৫ কেজি চাল কিনেছি ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। তাহলে অন্য বাজার কী দিয়ে করব।'
আর কত দিন পর জিনিসপত্রের দাম কমবে- এমন প্রশ্ন করেন নুর নাহার নামে এক ক্রেতা। গতকাল কারওয়ান বাজারে কিচেন মার্কেটে সদাই কিনতে এসে তিনি বলেন, 'চালের চেয়ে আটার দাম বেশি। দুই কেজির আটার প্যাকেট ১৫০ টাকা। তাহলে কম আয়ের মানুষ বাঁচবে ক্যামনে।'
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে সব ধরনের চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ এবং বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। এ ছাড়া মোট চালের মধ্যে পায়জাম ৫৮ থেকে ৬০ এবং গুটি স্বর্ণা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পোলাও চালের। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ৮ থেকে ১০ দিনে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে পোলাও চালের দাম। বাজারে খোলা প্রতি কেজি পোলাও চাল ১৪০ থেকে ১৪৫ এবং প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চাল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত মাসে তিন দফা বেড়েছে প্যাকেটজাত আটার দাম। এখন নতুন করে খোলা আটার দাম বেড়েছে। এতদিন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে খোলা আটার কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকা দরে।
চালের দামের ব্যাপারে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বছরজুড়ে চালের দাম বেশি ছিল। গত আমন মৌসুমেও দাম কমেনি। কারওয়ান বাজারের হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের বিক্রয়কর্মী বলেন, 'চালের দাম কমার লক্ষণ নেই। মিল পর্যায়ে গত সপ্তাহেও চালের বস্তায় (৫০ কেজি) ২০ থেকে ৫০ টাকা করে বেড়েছে। মিলে দাম না কমলে খুচরা বাজারে কমবে না।'
ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মনোয়ার হোসেন বলেন, 'দাম কমার খবর জানতে না চেয়ে বরং বলেন, নতুন করে আর কত টাকা বেড়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত এক বছরে সরু চালের দাম প্রায় ৯ শতাংশ, মাঝারি চালের দাম ১০ শতাংশের বেশি এবং মোটা চালের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে এক বছরের ব্যবধানে খোলা আটার দাম ৬৯ এবং প্যাকেটজাত আটার দাম ৬৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
তেজকুনীপাড়ার সুমা স্টোরের কর্মী মো. শুভ বলেন, প্যাকেটের আটা আগেই বেড়েছে। পাইকারি বাজারে এখন বেড়েছে খোলা আটার দাম।
এদিকে চাল আমদানিতে শুল্ক্ক প্রত্যাহারের সুযোগ দিলেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আমদানি হচ্ছে না। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, সরকার এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে মোট ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে দেশে এসেছে সাড়ে তিন লাখ টনের কিছু বেশি। এমন পরিস্থিতিতে আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক্ক সুবিধার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়েছে সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানিতে এ সুবিধা দিয়ে গত বুধবার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
তবে শুল্ক্ক প্রত্যাহার হলেও ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকে এলসি খুলতে পারছেন না বলে জানান আমদানিকারকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে এক দোকান থেকে ২৫ কেজি চাল কেনেন বেসরকারি চাকরিজীবী কামরুল হাসান। চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে একরাশ হতাশা নিয়ে এক নাগাড়ে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দামের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। বলেন, 'ভাই এই বছরটাতেই মনে হয় জিনিসপত্রের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বেতন তো বাড়ল না এক পয়সা। কম না কিনে এখন আর উপায় নেই। ধানের ভরা মৌসুমেও ২৫ কেজি চাল কিনেছি ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। তাহলে অন্য বাজার কী দিয়ে করব।'
আর কত দিন পর জিনিসপত্রের দাম কমবে- এমন প্রশ্ন করেন নুর নাহার নামে এক ক্রেতা। গতকাল কারওয়ান বাজারে কিচেন মার্কেটে সদাই কিনতে এসে তিনি বলেন, 'চালের চেয়ে আটার দাম বেশি। দুই কেজির আটার প্যাকেট ১৫০ টাকা। তাহলে কম আয়ের মানুষ বাঁচবে ক্যামনে।'
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে সব ধরনের চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ এবং বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। এ ছাড়া মোট চালের মধ্যে পায়জাম ৫৮ থেকে ৬০ এবং গুটি স্বর্ণা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে পোলাও চালের। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ৮ থেকে ১০ দিনে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে পোলাও চালের দাম। বাজারে খোলা প্রতি কেজি পোলাও চাল ১৪০ থেকে ১৪৫ এবং প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চাল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত মাসে তিন দফা বেড়েছে প্যাকেটজাত আটার দাম। এখন নতুন করে খোলা আটার দাম বেড়েছে। এতদিন ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে খোলা আটার কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকা দরে।
চালের দামের ব্যাপারে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বছরজুড়ে চালের দাম বেশি ছিল। গত আমন মৌসুমেও দাম কমেনি। কারওয়ান বাজারের হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের বিক্রয়কর্মী বলেন, 'চালের দাম কমার লক্ষণ নেই। মিল পর্যায়ে গত সপ্তাহেও চালের বস্তায় (৫০ কেজি) ২০ থেকে ৫০ টাকা করে বেড়েছে। মিলে দাম না কমলে খুচরা বাজারে কমবে না।'
ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মনোয়ার হোসেন বলেন, 'দাম কমার খবর জানতে না চেয়ে বরং বলেন, নতুন করে আর কত টাকা বেড়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত এক বছরে সরু চালের দাম প্রায় ৯ শতাংশ, মাঝারি চালের দাম ১০ শতাংশের বেশি এবং মোটা চালের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে এক বছরের ব্যবধানে খোলা আটার দাম ৬৯ এবং প্যাকেটজাত আটার দাম ৬৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
তেজকুনীপাড়ার সুমা স্টোরের কর্মী মো. শুভ বলেন, প্যাকেটের আটা আগেই বেড়েছে। পাইকারি বাজারে এখন বেড়েছে খোলা আটার দাম।
এদিকে চাল আমদানিতে শুল্ক্ক প্রত্যাহারের সুযোগ দিলেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আমদানি হচ্ছে না। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, সরকার এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে মোট ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে দেশে এসেছে সাড়ে তিন লাখ টনের কিছু বেশি। এমন পরিস্থিতিতে আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক্ক সুবিধার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়েছে সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানিতে এ সুবিধা দিয়ে গত বুধবার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
তবে শুল্ক্ক প্রত্যাহার হলেও ডলার সংকটের কারণে ব্যাংকে এলসি খুলতে পারছেন না বলে জানান আমদানিকারকরা।
মন্তব্য করুন