জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এখন সর্বত্র। উন্নয়ন প্রকল্পে এই অভিঘাত প্রশমন এবং প্রকল্পের সেবা টেকসই করা নিয়ে আগেভাগেই ভাবতে হবে। ডিপিপি বা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে সংশ্নিষ্ট এলাকার জলবায়ুর ঝুঁকি চিহ্নিত করা এবং ঝুঁকি প্রশমনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে এ ধরনের কোনো ভাবনা বা পদক্ষেপ নেই। এতে অনেক প্রকল্পই টেকসই হচ্ছে না। অর্থের অপচয় হচ্ছে।

মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ আয়োজিত এক সেমিনারে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনা কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কার্যক্রম বিভাগের যুগ্ম প্রধান ড. নুরুন নাহার।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে এর অভিঘাত থেকে প্রকল্পগুলো রক্ষা করা যেতে পারে। প্রকল্প প্রণয়নের শুরুতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরূপণ এবং কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়। এজন্য অবশ্যই প্রকল্প-সংশ্নিষ্টদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রকল্পের কোনো ক্ষতি না হয় এবং অর্থের অপচয় না হয়।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বর্তমানে উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঝুঁকি পর্যালোচনা করা হয় না। প্রকল্প এলাকায় ঝুঁকি কমাতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এজন্য কত ব্যয় হবে তা নির্ধারণ করা হয় না। ড. নুরুন নাহার বলেন, টেকসই উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই সংশ্নিষ্ট এলাকার ঝুঁকি নির্ণয় করতে হবে এবং ডিপিপিতে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।