- অর্থনীতি
- জনপ্রিয় হিসেবে পুরস্কার পেল শতাধিক ব্র্যান্ড
সার্বিক বিচারে সেরা ১৫টি
জনপ্রিয় হিসেবে পুরস্কার পেল শতাধিক ব্র্যান্ড

রাজধানীর লা-মেরিডিয়ান হোটেলে বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পাওয়া কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধি ও অতিথিরা- ফটো রিলিজ
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে ১০ হাজার ভোক্তার ওপর জরিপের ভিত্তিতে বিভিন্ন কোম্পানির শতাধিক ব্র্যান্ডকে 'সর্বাধিক প্রিয়' হিসেবে বাছাই করা হয়েছে। ৩৮টি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্যাটাগরির বাইরে সার্বিকভাবে ১৫টি ব্র্যান্ড শীর্ষস্থানীয় তালিকায় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে প্রথম হয়েছে মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
গত শনিবার রাজধানীর লা মেরিডিয়েন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের ১৪তম আসর। বছরব্যাপী দেশে সবচেয়ে সমাদৃত ও গ্রাহকপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোকে পুরস্কৃত করতে প্রতি বছর বড় আয়োজনের মাধ্যমে বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড দেয় ব্র্যান্ড ফোরাম। জনপ্রিয় এ আয়োজনে পার্টনার অংশীদার ছিল নিয়েলসন আইকিউ এবং সহযোগিতায় ছিল ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার।
ব্র্যান্ড ফোরাম জানায়, সামগ্রিকভাবে শীর্ষস্থানীয় ১৫ ব্র্যান্ড হলো যথাক্রমে- বিকাশ, আরএফএল হাউসওয়্যার, গ্রামীণফোন, ওরস্যালাইন-এস, ক্লোজআপ, রাঁধুনী, লাক্স, ম্যাগি, ফ্রেশ, স্বপ্ন, ইস্পাহানী মির্জাপুর চা, দারাজ, এসিআই পিওর সল্ট, স্যামসাং টিভি এবং ফ্রুটো। এসব ব্র্যান্ড বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জনপ্রিয় হিসেবেও অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
মোট ৩৮টি ক্যাটাগরিতে জনমত যাচাই হয়, যার মধ্যে রয়েছে- কোমল পানীয়, বোতলজাত পানি, সিমেন্ট, সিরামিক, ই-কমার্স, এমএফএস, ভোজ্যতেল, হেয়ারঅয়েল, জুস, আইসক্রিম, মোবাইল ফোন সেবা, ওরাল স্যালাইন, রেফ্রিজারেটর, আটা/ময়দা/সুজি, লবণ, শ্যাম্পু, মসলা ইত্যাদি। পুরস্কার পাওয়া ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাটা, অ্যাপেক্স, ওয়ালটন, বার্জার, ডাভ, হুইল, রিন, ডেটল, হারপিক, গ্রামীণফোন, নগদ, রকেট, ডানো, হরলিকস, প্যারাসুট, কোকা-কোলা, বসুন্ধরা টিস্যু, বাংলা টিস্যু, ফ্রেশ, তীর, পুষ্টি, মাম, পেপসি, সেভেন আপ, ফ্রুটিকা, মিস্টার নুডলস, সেসোডাইন, ডিবিএল, ফুডপান্ডা, ওমেরা এলপিজি, লোটো, আরএকে সিরামিকস, বিক্রয় ডটকম, ডিপ্লোমা, কমপ্লান, বুস্ট, স্যামসাং মোবাইল, সনি, রবি, পেপসোডেন্ট, সিঙ্গার, আগোরা, বিএসআরএম, কেএসআরএম ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ডিরেক্টর এবং ক্রিয়েটিভ এডিটর নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, একটি জাতি হিসেবে আমাদের আসন্ন লক্ষ্য হচ্ছে এলডিসি থেকে উত্তরণ, এসডিজি অর্জন এবং ইনোভেট বাংলাদেশ-২০৪১ মাইলস্টোনগুলো অর্জন করা। লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে আমাদের দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর বিরাট একটি ভূমিকা রয়েছে। নিয়েনসল আইকিউর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর আসিফ এস এম মাহমুদ বিস্তারিত আলোচনায় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড-২০২২ এর পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন।
এবারের আয়োজনের কৌশলগত অংশীদার ছিল বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম। জ্ঞানের অংশীদার ছিল মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ। প্রযুক্তি অংশীদার ছিল আমরা নেটওয়ার্কস এবং জনসংযোগ অংশীদার ছিল ব্যাকপেজ পিআর।
মন্তব্য করুন