- অর্থনীতি
- এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পূর্বাচলে আজ শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

রাজধানীর পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা- ফটো রিলিজ
বৈশ্বিক পরিস্থিতি কঠিন হলেও চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শনিবার ঢাকার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৭তম বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় দ্বিতীয়বারের মতো পূর্বাচলে এ মেলার আয়োজন করছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় আন্তর্জাতিক মেলা উদ্বোধন করবেন। গত বছরের তুলনায় এবার মেলায় ১০৬টি স্টল বেশি। এবার মোট ৩৩১টি প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকছে মেলায়। এর মধ্যে ১০টি রাষ্ট্রের ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর রপ্তানি বাড়ছে। যদিও মাঝখানে করোনার জন্য অনেক সমস্যা হয়েছে। গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৮ বিলিয়ন ডলারের, যা ৬০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এখন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। করোনা বাড়ছে। সারা দুনিয়া অস্থির অবস্থার মধ্যে রয়েছে। তবে আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। এখন রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের মতো।' তাই এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর বাণিজ্য মেলা থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ পাওয়া গেছে। এবার আরও বেশি হবে বলে আশা করছেন। তবে বেচাকেনার চেয়ে মূল লক্ষ্য হলো- বিদেশি ক্রেতা আকর্ষণ ও পণ্য ব্র্যান্ডিং করা। মেলায় দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের কাছে নিজেদের তৈরি পণ্য তুলে ধরা সম্ভব হয়। এর মাধ্যমে বিদেশি পণ্যের সঙ্গে নিজেদের পণ্যের মান তুলনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। ঢাকা থেকে পূর্বাচল কিছুটা দূর হলেও গত বছর মেলায় অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাটপণ্য, চামড়াজাতীয় পণ্যসহ চারটি খাতের পণ্য এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ছাড়িয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম নির্দিষ্ট থাকবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেলায় অভিযান পরিচালনা করবে। মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো কুড়িল-বিশ্বরোড থেকে মেলা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, মো. আব্দুর রহিম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন