প্রচলিত তিন ধরনের স্মারক স্বর্ণ মুদ্রার দর বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিটিতে ৩ হাজার টাকা দর বাড়িয়ে ৭৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। গত মাসেও প্রতিটিতে তিন হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়। স্মারক স্বর্ণ মুদ্রার পাশাপাশি সব ধরনের রৌপ্য মুদ্রার দর এক হাজার টাকা করে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে দর বাড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে বলে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশে বর্তমানে তিন ধরনের স্বর্ণ স্মারক মুদ্রা রয়েছে। রৌপ্য ও নিকলের স্মারক মুদ্রা রয়েছে ১১ ধরনের। আর চার ধরনের কাগুজে স্মারক নোট রয়েছে।

সাধারণভাবে এসব স্মারক মুদ্রা শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা অফিস এবং মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা জাদুঘরে কিনতে পাওয়া যায়। গ্রাহকের বিশেষ অনুরোধে ব্যাংকের শাখাও সংগ্রহ করে দেয়।

বিদ্যমান তিন ধরনের স্মারক স্বর্ণ মুদ্রা হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১ বিষয়ক স্মারক মুদ্রা। প্রতিটি স্মারক মুদ্রা ২২ ক্যারট মানের ১০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ দিয়ে প্রস্তুত করা। ২০২২ সালে তিন দফায় প্রতিটিতে ৯ হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়।

বিদ্যমান ১১ ধরনের রৌপ্য স্মারক মুদ্রার মধ্যে এতদিন শুধু বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির মুদ্রার দর ছিল পাঁচ হাজার টাকা। বাকি ১০ ধরনের মুদ্রার দর ছিল চার হাজার টাকা।

এখন থেকে সব মুদ্রা কিনতে হবে পাঁচ হাজার টাকায়। অন্য স্মারক রৌপ্য মুদ্রার তালিকায় রয়েছে- স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন, বাংলাদেশের ৪০তম বিজয় বার্ষিকী, বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী, আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাংলাদেশ ২০১১, জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সম্পর্কিত স্মারক মুদ্রা।