দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে ৪৮ চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন না করায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার। এদিন শুনানিতে তাঁকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আনতে না পারলে দেশ টিকবে না।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন। শুনানি শেষে আগামী ২ মে পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে সকালে তলব আদেশে হাইকোর্টে হাজির হন স্বাস্থ্যের ডিজি।

শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, কারাগারে থাকা মানুষেরও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার আছে। সেবাটা দেওয়া দরকার। আমাদের তো কাউকে ডাকতে মন চায় না। এটা শোভনীয় নয়। আমরা অনেক সময় দিয়ে থাকি। বারবার সময় দেওয়ার পরও যখন আদালতের আদেশ মানা হয় না, তখন আমরা বাধ্য হয়ে ডাকি।

এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এটা বিবেচনা করেন। স্বাস্থ্য খাতের (বিলম্বের) বিষয়টি করোনার কারণে হয়েছে। তখন হাইকোর্ট বলেন, সরকার তো কোনো খাতেই টাকা কম দেয় না।

ফরিদপুর মেডিকেলে দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরে হাইকোর্ট বলেন, একটি জিনিসের দাম বাজারের তুলনায় ৪০০ গুণ বেশি হতে পারে না। বিদেশিরা দেশ চালায় না। আমরা নিজেরা দেশ চালাচ্ছি। একপর্যায়ে হাইকোর্ট স্বাস্থ্যের ডিজিকে ডায়াসের সামনে ডাকেন।

পরে তাঁর উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, এ দেশের মানুষ কিন্তু গরিব। মানুষ বিপদে পড়লেই চিকিৎসকের কাছে যায়। এটা একটি মহান পেশা। চিকিৎসকরাও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা দেন। তাঁদের ব্যক্তিজীবন আছে বলে মনে হয় না। তার পরও মানুষ সেবা পায় না। আপনি বিষয়টি দেখবেন। গরিব দেশ হিসেবে যথেষ্ট টাকা স্বাস্থ্য খাতে সরকার বরাদ্দ দেয়। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে কোনো কিছু গেলে আপনারা গুরুত্ব দেবেন।