নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারসহ উপহারসামগ্রী তুলে দিয়ে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় প্রথম প্রহর রাত ১২.০১ মিনিটে আতশবাজি ফোটানোর মধ্য দিয়ে। গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনসহ অতিথিরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচেগেয়ে শিক্ষার্থীরা দিবসটি উদযাপন করেন। পরে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে কেক কাটা হয়। সকাল ১১টায় উপাচার্যসহ অতিথিরা বিভিন্ন বিভাগের পিঠা উৎসবের স্টল পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি বিভাগ তাদের পাঠ্যক্রমের থিম অনুযায়ী পিঠা স্টলের বাহারি নামকরণ করেন। স্টলগুলোতে সাজানো হয় নানা ধরন, আকৃতি ও সুস্বাদু পিঠার পসরা।

সকাল সাড়ে ১১টায় ষোড়শ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও স্নাতক প্রথমবর্ষের নবীনবরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য আনোয়ার হোসেন। নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এখন জীবনসায়াহ্নে, প্রদীপের টিমটিম আলোর মতো। আর তোমরা হলে প্রদীপের উজ্জ্বল শিখা। বিকেলে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দল ও ব্যান্ড 'অড সিগনেচার'-এর অংশগ্রহণে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনষ্ঠান।

২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গাজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।