ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে জয়নাল আবেদীন নামে একব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত জয়নাল আবেদীন পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া থানার বোতাগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শিশু কন্যাকে নিয়ে জয়নাল আবেদীনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন রোজিনা বেগম নামে এক নারী। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে মহেশপুরের স্বরুপপুর গ্রামে বসবাস করতে থাকেন তারা।

২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়িরে বাইরে বের হন রোজিনা বেগম। বাড়ি ফিরে দেখেন তার মেয়েকে ধর্ষণ করছেন স্বামী জয়নাল আবেদীন। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় রোজিনা বেগম বাদী হয়ে একটি ধর্ষণের মামলা দেন। একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকর্মকর্তা জয়নালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান সমকালকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে এই সাজা দিয়েছেন।