আদায়ে কঠোর না হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তার সুযোগে ঋণ নিয়মিত দেখানোর পথ পেয়ে যাচ্ছেন খেলাপিরা। কখনও বিশেষ ব্যবস্থায় পুনঃতপশিল, কখনও পুনর্গঠনের মাধ্যমে খেলাপি ঋণের আসল তথ্য থেকে যাচ্ছে আড়ালে।

ঋণ পরিশোধে শিথিলতার মধ্যেই ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে ১১ হাজার ৫১২ কোটি টাকা পুনঃতপশিল হয়েছে। গেল ১০ বছরে পুনঃতপশিল করা হয়েছে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। এর পরও গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবলোপনসহ খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণ স্থিতির ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অবশ্য একই ব্যক্তির মালিকানার একাধিক প্রতিষ্ঠান বিবেচনায় নিলে অর্থমন্ত্রীর তালিকাটি ১৬ খেলাপির।

তালিকায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিনটি, মাইশা গ্রুপের দুটি এবং এসএ গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে দেখালেও মালিকানা একই। শীর্ষ এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকগুলোর পাওনা ১৯ হাজার ২৮৪ কোটি টাকার মধ্যে খেলাপি ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

আলোচনা করেছেন সমকারের বিশেষ প্রতিনিধি ওবায়দুল্লাহ রনি ও সহ-সম্পাদক উম্মে রাহী।

মূল প্রতিবেদন: খেলাপি ঋণের আসল চিত্র আড়ালে