সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লার পর এবার ব্যাংকটির ইসি চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ নেওয়াজের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফইইউ) সম্প্রতি ব্যাংকগুলোকে এ চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। চিঠি পাওয়ার পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তার লেনদেনসহ অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

মোহাম্মদ নেওয়াজ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির (ইসি) চেয়ারম্যান। পর্ষদের চেয়ারম্যানের পরই এ পদ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়, মোহাম্মদ নেওয়াজের নামে কোনো হিসাব থাকলে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে লেনদেন, অ্যাকাউন্টের স্থিতি, অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে। তার পিতা মোহাম্মদ ফারুক ও মাতা সানোয়ারা বানু। বাসার ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে ঢাকার সূত্রাপূর।

নানা কারণে আলোচিত ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া এসবিএসি ব্যাংক। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণের অপব্যবহার, করোনার সময়ে দেওয়া সরকারি প্রণোদনার টাকায় আগের ঋণ সমন্বয়সহ বিভিন্ন অভিযোগে গত আগস্টে ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির মোল্লার লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য তলব করে বিএফআইইউ। ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলাকালীন গত বছরের নভেম্বরে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান।

বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান ছাড়াও ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক ও পিপলস লিজিংয়ের এক সময়কার চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন ঋণ খেলাপির দায়ে পরিচালক পদ হারিয়েছেন। আরেক উদ্যোক্তা পরিচালক ও পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ঋণখেলাপির দায়ে বাদ পড়েন। খেলাপি হওয়ায় পরিচালক পদে অনাপত্তি পাননি আরএসআরএম গ্রুপের কর্ণধার মাকসুদুর রহমান।

এদিকে পরিচালক পদ হারানোর পর ব্যাংকটি থেকে শেয়ার বিক্রি করে চলে গেছেন সাদ মূসা গ্রুপের মো. মহসিন। আর ব্যাংকটির আরেক পরিচালক মিজানুর রহমানকে পরিচালক পদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনাপত্তি না দিলেও আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে বহাল আছেন।