
ড. সেলিম রায়হান, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাহী পরিচালক, সানেম
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর প্রশাসন ও করনীতির আধুনিকায়ন, ভর্তুকি কমানোসহ বিভিন্ন খাতে যে সংস্কারের কথা বলেছে, সে বিষয়ে একটা ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে। দেশে গবেষণা সংস্থা, অর্থনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে আগে থেকেই এ বিষয়ে পরামর্শ ছিল।
কিন্তু সংস্কারের প্রশ্নে সরকারের মধ্যে গড়িমসি ছিল, এবারই প্রথম সেই প্রবাহের বিপরীতে সরকারকে ইতিবাচক দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু সংস্কারে হাত দেওয়া হয়েছে। তবে বাকি সব সংস্কার কার্যক্রম একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।
আইএমএফ সাত কিস্তিতে অর্থ দিচ্ছে। এক কিস্তির অর্থছাড়ের পর সংশ্নিষ্ট অন্যান্য সংস্কার পর্যালোচনা করেই পরবর্তী অর্থছাড় করবে। ফলে সংস্কার না করে সরকারের হাতে বিকল্প আর কোনো পথ খোলা নেই। এর সঙ্গে সময়টাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ সারাবিশ্বের মতো এখন আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক সংকটকাল চলছে। এ সময় ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিলে তা মূল্যস্ম্ফীতিকে উস্কে দেবে।
ফলে সংস্কার উদ্যোগের পাশাপাশি দরিদ্রদের বাঁচিয়ে রাখার চিন্তাও মাথায় রাখতে হবে। ঋণের অর্থ ব্যয় যাতে উৎকর্ষের সঙ্গে হয়। অপচয়ের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। সময়মতো মানসম্পন্ন ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে উন্নয়নের পাশাপাশি এলডিসি থেকে উত্তরণের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। দেশের ভাবমূর্তিও বাড়বে। বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীও ঋণ দিতে বাংলাদেশকে খুব সহজে আস্থায় নেবে।
মন্তব্য করুন