আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ অন্য সাধারণ ঋণের মতো নয়। এই ঋণ কাঠামো সংস্কারের ঋণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারই এখানে মুখ্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অতীতের অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় সংস্কার কার্যক্রম কতটা সফলভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

আমি মনে করি, সংস্কারের বিভিন্ন শর্তের বিষয়ে আগেই দুই পক্ষ অর্থাৎ সরকার ও আইএমএফের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পরই ঋণ অনুমোদন থেকে অন্যান্য প্রক্রিয়া এ পর্যায়ে এসেছে। সংস্কার প্রশ্নে বিভিন্ন শর্ত কতটা বাস্তবায়ন করা যাবে, সেটা নিশ্চয়ই সরকার আগেই ভেবে দেখেছে। আইএমএফ নিশ্চয়ই সংস্কারের শর্ত পরিপালনের বিষয়ে

সরকারের ওপর আস্থা রেখেই ঋণ অনুমোদন করেছে। আইএমএফ সাত কিস্তিতে ঋণের অর্থ দেবে। কোনো কিস্তি দেওয়ার পর পরবর্তী কিস্তির আগে শর্ত পরিপালনের যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কেও সরকার অবগত এবং নিশ্চয়ই প্রস্তুতি আছে সরকারের মধ্যে। সুতরাং এ নিয়ে এখন আর বাইরে থেকে কথা বলার কিছু নেই। তবে আইএমএফের এই ঋণ সংকট থেকে উত্তরণে বড় ধরনের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে- এটি নিঃসন্দেহে বলতে পারি।