আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ এ মুহূর্তে আমাদের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। তবে সমস্যা হচ্ছে, আইএমএফের শর্ত মানতে গণহারে ভর্তুকি প্রত্যাহারের কারণে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। এতে শিল্প বড় ধরনের চাপে পড়েছে।

এমনিতেই উৎপাদন সক্ষমতার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অনেক দিন ধরে অব্যবহৃত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আইএমএফের শর্ত পালনে সহনীয় হারে দাম বাড়ালে শিল্পোদ্যোক্তারা দর পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারতেন। কিন্তু অস্বাভাবিক হারে এবং দফায় দফায় দাম বাড়ানোর কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে দ্বিগুণ। অনেক উদ্যোক্তা হতাশ হয়ে পড়েছেন। কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছেন কেউ কেউ।

তবে আইএমএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন খাতে সংস্কারের ফলে ব্যবসা-বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত হবে। মানবসম্পদ উন্নয়ন হবে। এগুলো অবশ্যই ভালো খবর। ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ তৈরি হলে কাঙ্ক্ষিত বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। তৈরি পোশাকের পশ্চাৎসংযোগ শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ এলে পণ্যের মান ও দাম বাড়বে। মানবসম্পদের উন্নয়নের ফলে দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি দূর হবে।