রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে চরম অস্থিরতা দেখা দেয় আন্তর্জাতিক পণ্য বাজারে। দফায় দফায় বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হয় বিভিন্ন দেশকে। দেশে দেশে বেড়ে যায় মূল্যস্ম্ফীতি। বিশ্ববাজারে অস্থিরতার প্রভাব পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ অর্থনীতির নানা সূচকে। সেই মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ে এবার কিছুটা স্বস্তির আভাস দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর বৈশ্বিক মূল্যস্ম্ফীতির হার কমে আসবে। আগামী বছর কমবে আরও খানিকটা।

মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক আপডেট প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক মূল্যস্ম্ফীতি হতে পারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। গত বছর মূল্যস্ম্ফীতি বেড়ে হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে এ হার আরও কমে হবে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। যদিও এটি করোনা অতিমারির আগের সময়ের তুলনায় বেশি। করোনার আগে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গড় মূল্যস্ম্ফীতি হয় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

এদিকে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হওয়ায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আগের তুলনায় কিছুটা বাড়িয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটির সবশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। একই বছরের জন্য আগের দেওয়া পূর্বাভাসের চেয়ে এই হার শূন্য দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অনেক কম। গত বছর প্রবৃদ্ধি হয় ৩ দশমিক ৪ শতাংশের মতো। অবশ্য আগামী বছর প্রবৃদ্ধির হার খানিকটা বেড়ে হবে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

আইএমএফ বলেছে, মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদহার বাড়ানোর পদক্ষেপ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে দেখা দেওয়া বিরূপ প্রভাব অব্যাহত আছে। চীনে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবও রয়েছে। তবে সম্প্রতি চীন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম হয়েছে।