আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের যে ঋণ অনুমোদন করেছে, সেই ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার (প্রায় পাঁচ হাজার ১০০ কোটি টাকা) আজ বৃহস্পতিবার পেয়েছে বাংলাদেশ। এ অর্থ যোগ হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড়ের জন্য আইএমএফের পক্ষ থেকে ২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকার কনফার্মেশন অব ক্রেডিট চাওয়া হয়। এটি পাঠানো হলে বৃহস্পতিবার প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। একইসঙ্গে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৬১ লাখ ডলার রিজার্ভের যুক্ত হওয়ায় এদিন রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে।

গত সোমবার অনুষ্ঠিত আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। ঋণ অনুমোদনের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএফ জানায়, এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) বা বর্ধিত ঋণ সুবিধা ও এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) বা বর্ধিত তহবিল সুবিধার আওতায় ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলার এবং নতুন গঠিত তহবিল রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ১৪০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৪২ মাসের মধ্যে পুরো অর্থ ছাড় হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, আইএমএফের নিজস্ব মুদ্রা স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস বা এসডিআরে সংস্থাটি এ ঋণ দেবে। গত জুলাইতে ঋণের আলোচনা শুরুর সময় ডলার ও এসডিআরের মধ্যে বিনিময় হারের ভিত্তিতে তখন ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়া যাবে বলে ধরা হয়। কিন্তু বর্তমানে এসডিআরের তুলনায় ডলারের মূল্য কিছুটা কমে যাওয়ায় ঋণের পরিমাণ ৪৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। তবে আগামীতে যদি বিনিময় হারে আরও পরিবর্তন আসে তাহলে ডলারের হিসাবে কমতে বা বাড়তে পারে। মোট ঋণের আকার ৩৫০ কোটি এসডিআর।

আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে এ ঋণ কর্মসূচি। বাংলাদেশ সরকার যেসব সংস্কার কর্মসূচি ইতোমধ্যে হাতে নিয়েছে, একই সঙ্গে এ কর্মসূচি সেগুলোর বাস্তবায়নেও সহায়তা করবে।