হঠাৎ কাগজ খাতের আলোচিত কোম্পানি সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস এবং ওষুধ খাতের কোম্পানি সিলভা ফার্মা ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে বের হয়েছে এবং দর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এমনকি বড় অঙ্কের শেয়ার লেনদেনও হয়েছে। সোনালী পেপার টানা প্রায় দুই মাস পর এবং সিলভা ফার্মা প্রায় চার মাস নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যসীমায় ছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সোনালী পেপার দ্বিতীয় এবং সিলভা ফার্মা তৃতীয় অবস্থানে ছিল। আগের দিনের তুলনায় সাড়ে ৭ শতাংশ দর বেড়ে সোনালী পেপার সর্বোচ্চ ৬৬১ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে। বুধবার শেয়ারটি সর্বশেষ ৬১৫ টাকা ১০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, উল্লিখিত সময়ে মূল শেয়ারবাজার বা পাবলিক মার্কেটে এ দুই কোম্পানির শেয়ারের তেমন কোনো কেনাবেচা ছিল না। ডিএসইর লেনদেন পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, শুধু এ বাজারে সোনালী পেপারের ৪৮ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে পাবলিক মার্কেটে ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং ব্লক মার্কেটে ১৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। ব্লক মার্কেটে ৬০৮ টাকা থেকে ৬২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়েছে।

অন্যদিকে সিলভা ফার্মার দর সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি বেড়ে সর্বশেষ ২২ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। ডিএসইর পাবলিক মার্কেটে কোম্পানিটির প্রায় ৪৪ লাখ ২০ হাজার শেয়ার ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা মূল্যে হাতবদল হয়েছে।

এ দুই শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস থেকে বের হয়ে আসার দিনেও ১৬৪ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে পড়ে ছিল। ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর এখনও ২২৪ শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস কার্যকর আছে। গতকাল দিনের শেষে ৬৬ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের বেশি দরে কেনাবেচা হয়েছে।

এদিকে গতকালও ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। পাবলিক মার্কেটে কেনাবেচা হওয়া ৩২৬ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৩৩টির দর বেড়েছে; কমেছে ১৩৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৫৪টির দর। ক্রেতার অভাবে বাকি ৬৫ শেয়ার ও ফান্ডের কেনো শেয়ার কেনাবেচা হয়নি। প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স সূচক ১২ পয়েন্ট হারিয়ে ৬২৮৩ পয়েন্টে নেমেছে।