- অর্থনীতি
- নিবন্ধনবিহীন থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা: সালমান এফ রহমান
নিবন্ধনবিহীন থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা: সালমান এফ রহমান

সিএনজিচালিত নিবন্ধনবিহীন থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
শনিবার ময়মনসিংহের ভালুকায় রানারের থ্রি-হুইলার কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অটো মোবাইল অ্যাসেম্বলিং অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেন, রাস্তায় প্রায় ৫ লাখ থ্রি-হুইলার গাড়ি চলাচল করে। এর মধ্যে এক লাখ গাড়ির নম্বর আছে। বাকি চার লাখের কিছুই নেই।
মাতলুব আহমেদের তথসূত্র আমলে নিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, দেশে প্রায় পাঁচ লাখ থ্রি-হুইলার চলছে। যেগুলোর প্রায় চার লাখেরই কোনো নিবন্ধন নেই। এটা খুবই অবাক করার মতো তথ্য। অনেকটা বেআইনি ভাবে এসব যান চলাচল করছে। এসব পরিবহনের মালিক কারাকিংবা কারা সেগুলো চালায় সেই বিষয়টি অজানা থেকে যাচ্ছে। এতে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও সড়ক মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করা হবে। আশা করি শিগগির অবৈধ থ্রি-হুইলারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব সালমান এফ রহমান বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় এবং ডলার সংকটে দেশের ব্যবসায়ীরা কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, অন্যান্য দেশেও হচ্ছে। যেহেতু স্বল্প সময়ে আইএমএফের ঋণ পাওয়া গেছে, আশা করি দুই-এক মাসের মধ্যে ডলারের সংকট কেটে যাবে।
আইএমএফের ঋণ পাওয়া সরকারের বড় সফলতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তান হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি, হতে দেয়নি সরকার। এ দুদেশ আইএমএফের ঋণ না পেলেও বাংলাদেশ অল্প সময়ের মধ্যে ঋণ পেয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পোশাকের বাইরে অন্যান্য খাতের রপ্তানি মাত্র ১৭ শতাংশ। এই রপ্তানি বাড়াতে হলে পণ্যের উৎপাদন ও বৈচিত্র্য আনা জরুরি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডলারের সংকটের কারণে সরকার অনেক পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করছে। তাই এখনই সুযোগ আমদানি নির্ভরতা কাটাতে স্থানীয় শিল্পগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা দেওয়া। একই সঙ্গে পশ্চাৎপদ শিল্পখাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে সেজন্য উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে রানারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজি ও সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার উৎপাদন শুরু করেছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। ভারতের বাজাজ অটো প্রযুক্তির সহায়তায় এ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে দেশে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক থ্রি-হুইলার ব্র্যান্ডের উৎপাদন শুরু হলো।
ভালুকায় ১০ একর জমিতে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এ কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বছরে ৩০ হাজার পিছ থ্রি-হুইলার উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ কারখানায় ৩০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘আজ বড় আনন্দের দিন। এই স্বপ্নযাত্রাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ব্যাংকসহ যেসকল কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
সূচনা বক্তব্যে রানার অটোমোবাইলস সিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সুবীর চৌধুরী বলেন, ‘রানার দেশের মোটরসাইকেল শিল্পে প্রথম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় এখন থ্রি- হুইলার শিল্পে যাত্রা শুরু করছি। আশা করছি, মোটরসাইকেলের মতো এই শিল্পেও সাফল্য অর্জন করবো।’
মন্তব্য করুন