- অর্থনীতি
- '২০৩১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব'
'২০৩১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার আয় সম্ভব'

রাসেল টি আহমেদ
বেসিস সফটএক্সপোসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
-আপনি বেসিস সফটএক্সপো উদ্বোধনকালে ৩/৩ ফর্মুলা ঘোষণা করেছেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলবেন?
--সরকার ২০২৫ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, শুধু ৫ বিলিয়ন ডলার নয়, ২০৩১ সাল নাগাদ এই খাত থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করা সম্ভব। এ জন্য সরকার, ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়াকে একসঙ্গে তিনটি কাজ সমন্বিতভাবে করতে হবে। এগুলো হলো তথ্যপ্রযুক্তি খাতের গবেষণা ও উন্নয়ন, দেশে-বিদেশে ইন্ডাস্ট্রি ব্র্যান্ডিং এবং প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল তৈরি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক কাজ হচ্ছে। সরকারও এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এ খাতে সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাইলে এই তিন খাতের সমন্বয় খুবই জরুরি।
-এই সমন্বয়টা কীভাবে হবে?
--এ জন্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। খোলা মনে আন্তরিকতার সঙ্গে সবাইকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। সরকারি উদ্যোগে অনেক তরুণকে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এখন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন তথা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা বলা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডাটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং এ রকম নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা দেখছি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ৫০ কিংবা ১০০ জন ভালো প্রোগ্রামার খুঁজে চাকরি দিতে গেলে পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার তো অর্থায়ন করছে, তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনামূল্যে ট্রেনিং দিচ্ছে। তাহলে গ্যাপটা কোথায়? এই গ্যাপ খুঁজে বের করতে হবে।
-গতকালই শেষ হলো বেসিস সফটএক্সপো। এ মেলা থেকে আপনাদের অর্জন কী?
--এবারের বেসিস সফটএক্সপো দেশের এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী। সম্পূর্ণ বেসরকারি খাতের উদ্যোগে এমন বৃহৎ পরিসরে কোনো তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী এর আগে অনুষ্ঠিত হয়নি। আমাদের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার পাশাপাশি সম্ভাবনাকে তুলে ধরা। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রণী ভূমিকাতেই ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে বেসিসই যে শক্তিশালী অংশীদার, আমরা এ মেলার মাধ্যমে সেটি উপস্থাপন করেছি। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট নামে চারটি স্তম্ভ নির্ধারণ করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রেও বেসিস অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
মন্তব্য করুন