করদাতার সংখ্যা ৩১ লাখে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, বর্তমান জনবলে গ্রাম পর্যায়ে কর নেট বাড়ানো কঠিন। এরপরও বাড়ি, ফ্ল্যাট, গাড়ি, হোল্ডিং নম্বর কাজে লাগিয়ে কর আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। করদাতার পাশাপাশি ৪ লাখ ২০ হাজারে উন্নীত হয়েছে ভ্যাটদাতা।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। এ জন্য যুগোপযোগী শিল্পায়নের পাশাপাশি করের আওতা বাড়াতে হবে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে আমাদের কাছে আসা প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যাঁরা সরকারকে রাজস্বের জোগান দিচ্ছেন, তাঁদের সুযোগ-সুবিধার বিষয় মাথায় রেখে ভ্যাট, শুল্ক ও কর নীতিমালা করা দরকার। পণ্যের বিবরণ সঠিক থাকার পরও এইচএস কোডে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ২০০ থেকে ৪০০ শতাংশ জরিমানা করা হয়। এটি বন্ধ হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, পণ্য আমদানিতে এইচএস কোডের ভুলের বিষয়ে শিগগিরই ইতিবাচক আদেশ জারি কথা হবে। ভবিষ্যতে ভ্যাট ভবনের জন্য প্রকল্প নেওয়া হবে। অনলাইনে ভ্যাট প্রদান আরও সহজ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম এনবিআর সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, ড. শামস উদ্দিন আহমেদ, জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।