- অর্থনীতি
- চরের মানুষকে পেছনে ফেলে এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়
এনসিএ ও উন্নয়ন সমন্বয়ের আলোচনায় বক্তারা
চরের মানুষকে পেছনে ফেলে এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়

চরবাসীকে পেছনে রেখে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য কোনোভাবেই শতভাগ অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই চরবাসীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে চরে সরকারি ও বেসরকারি সেবাকে আরও সক্রিয় করতে হবে। সেখানকার কৃষি, ভূমি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। বর্তমানে চরে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি মানুষ নানাভাবে উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স (এনসিএ) এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের উদ্যোগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং চরবাসীর সামগ্রিক উন্নয়ন’বিষয়ক এক অনলাইন সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এনসিএর সদস্য সচিব জাহিদ রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উন্নয়ন সমন্বয়ের জ্যেষ্ঠ প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শাহীন উল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. মাহবুব হাসান মাসুদ।
আলোচনায় অংশ নেনন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক (প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি) রিফাত বিন সাত্তার, এসকেএসের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি) জোসেফ হালদার, ওয়াটার এইডের অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট রঞ্জন কুমার ঘোষ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ কামালউদ্দিন, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. খাদেমুল রাশেদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, চরের মানুষের প্রতি বৈষম্য কমিয়ে এনে তাদের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটাতে হবে। এ জন্য জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের গ্রহণযোগ্য কার্যকর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। চরের মানুষের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ ও তা বাস্তবায়নে সঠিক নির্দেশনা থাকতে হবে।
তাঁরা বলেন, চরের যুবসমাজকে যুগোপযোগী বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। চরের মানুষের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে চর বোর্ড বা চর ফাউন্ডেশনের মতো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন এবং জাতীয় চর নীতিমালা তৈরির বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।
মন্তব্য করুন