- অর্থনীতি
- ভূমির অধিকার আদায়ে নারীকে রুখে দাঁড়াতে হবে
নারী দিবসের সেমিনারে বক্তারা
ভূমির অধিকার আদায়ে নারীকে রুখে দাঁড়াতে হবে

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, পারিবারিক সম্পত্তির অংশীদারিত্ব থেকে নারীকে বঞ্চিত করা হয়। ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী নারীদের সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার ঘটনা বিরল। ভূমির ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা ও অধিকার আদায়ে নারীদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে নারীর ভূমি ও সম্পত্তিতে অধিকারের বাস্তবতা : রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) সেমিনারটির আয়োজন করে।
এএলআরডির চেয়ারপারসন ও মানবাধিকার নেত্রী খুশী কবিরের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবাধিকার আইনজীবী, জেন্ডার ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ফস্টিনা পেরেরা এবং এএলআরডির উপনির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি।
আলোচনা করেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটির পরিচালক নবনীতা চৌধুরী, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লাকি আক্তার, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।
ড. ফস্টিনা পেরেরা বলেন, সম্পত্তিতে নারীর অধিকার আদায়ের আন্দোলন শত বছর পেরিয়ে গেলেও অগ্রগতি অত্যন্ত ক্ষীণ। পরিবার ও সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের উন্নতি হয়নি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ ‘সিডও বাংলাদেশ প্রতিবেদন, নারীর ভূমি ও কৃষির অধিকার : নাগরিক উদ্বেগ’ বিষয়ক প্রবন্ধে রওশন জাহান মনি বলেন, জাতিসংঘের সিডও কমিটি ২০১৬ সালে ২৭টি ইস্যুতে ৫৮টি সুপারিশ করে। যার মধ্যে ১৬টি সুপারিশ নারীর ভূমি, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির অধিকার বা নারীর সমান অধিকারের সঙ্গে যুক্ত।
সোহরাব হাসান বলেন, তৃণমূল মানুষের অধিকার আদায় ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। দীর্ঘদিনের প্রচলিত অনাচার দূর করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।
মন্তব্য করুন