- অর্থনীতি
- বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নেই যানজট
বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নেই যানজট

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে যানবাহন। ছবি-সমকাল
বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কোন যানজট নেই। স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে যানবাহন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ থাকলেও কোথাও যানজট দেখা যায়নি।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে এলেঙ্গাতে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম আশ্বাস দিয়েছিলেন মহাসড়ক থাকবে যানজট মুক্ত। পুলিশ যেভাবে মহাসড়কে তৎপর রয়েছে আশা করছি কোন প্রকার সমস্যা হবে না। মহাসড়কে যাতে করে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য পুলিশ সবসময় মহাসড়কে থাকবে। এই সময়ে মহাসড়কে ডাকাতি, দুর্ঘটনা ও যানজট যাতে না হয় সেজন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা নিবে।
এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপ্রান্তের গোলচত্বর পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় এখনও ডিভাইডার (সড়ক বিভাজন) বিহীন দুই লেনে যান চলাচল করছে। এই কারণে যানজটের আশঙ্কা করছিলেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তবে যানজট হবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বলে জানান ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টাঙ্গাইল উত্তর) রফিকুল ইসলাম সরকার।
বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় ২২টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। সাধারণত প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার গাড়ি চলাচল করে এই মহাসড়ক দিয়ে। ঈদের ছুটিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ থেকে ৬০ হাজারে। এত বিপুল সংখ্যক গাড়ির চাপে টোলপ্লাজা মাঝে মধ্যেই বন্ধ রাখতে হয়। ফলে গাড়ির সাড়ি দীর্ঘ হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এবারের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ থাকলেও কোথাও কোন যানজট নেই।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কে ৭০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট নিরসনে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো গোবিন্দাসী ভূঞাপুর রোড হয়ে এলেঙ্গা চারলেনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো এলেঙ্গা হয়ে মহাসড়ক ব্যবহার করে সরাসরি টোলপ্লাজায় চলে যাচ্ছে। মহাসড়কে থ্রি হুইলারসহ ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন বিহীন যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও মহাসড়ক ও সেতুর উপর কোনো যানবাহন বিকল হলে তাৎক্ষণিক সেতু কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের রেকারের মাধ্যমে তা অপসারণ করা হচ্ছে। আশা করছি এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে ও স্বস্তিতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবে।
মন্তব্য করুন