বিদ্যমান সংকট নিরসনে নগরীতে জরুরিভাবে খাবার পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে ক্যাবের নেতারা বলেন, এমনিতে  বিভিন্ন এলাকায় পানির সরবরাহ কমে গেছে। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে তা লবণাক্ত। ফলে পানি পান করে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, বিশেষ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন– ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহসভাপতি এম নাসিরুল হক, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান। 

বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রীষ্মে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় চট্টগ্রাম ওয়াসায় তীব্র পানি সংকট দেখা দেয়। ফলে নগরীর অর্ধেক এলাকায় ওয়াসার পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ থাকে। তাছাড়া কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে শ্যাওলা জমায় পানি সংশোধনে সমস্যা হচ্ছে। হালদার পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় শেখ রাসেল ও মোহরা পানি শোধনাগার থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসার উৎপাদন অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। এ অবস্থায় সুপেয় পানির হাহাকার পড়ে গেছে বলা যায়। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত সংকটের সমাধান হবে না। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বেসরকারি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে পানি কিনে পান করতে হচ্ছে নগরবাসীর। দৈনন্দিন কাজে পানি সংকট থাকায় ভোগান্তির মাত্রা দিনদিন বাড়ছে। 

ক্যাব নেতারা বলেন, বছর না ঘুরতেই পানির দাম বাড়ে। উন্নয়ন প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এরপরও নগরবাসীকে নিরাপদ পানি পেতে বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে। কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই লবণাক্ততা পরিশোধনে ব্যবস্থা নিলে দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেত।  

তবে ওয়াসার দাবি, কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর অনেক নেমে গেছে। নদীতে সমুদ্রের পানি প্রবেশের কারণে লবণাক্ততা বেড়েছে। এ কারণে সুপেয় পানির উৎপাদন কমে গেছে।