- অর্থনীতি
- সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে আইএমএফ সন্তুষ্ট: বাংলাদেশ ব্যাংক
সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে আইএমএফ সন্তুষ্ট: বাংলাদেশ ব্যাংক

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক
আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানায়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সফররত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
আইএমএফ মিশনের সফর নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফ-এর বেঁধে দেওয়া বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও অনেক সময় রয়েছে। কিছু লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য জুন পর্যন্ত সময় আছে। আর বিভিন্ন মেয়াদে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
আইএমএফ-এর ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ হবে বলেও আশাবাদী বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুখপাত্র।
এক প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফ সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে সন্তুষ্ট। যদিও কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েই গেছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঋণের বেধে দেওয়া সুদহার উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা আগামী জুলাইয়ের মুদ্রানীতিতে ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ডলারের একক বিনিময় হার প্রায় বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে দরে ডলার বিক্রি করছে এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক যে দামে আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয় সংগ্রহ করছে তার মধ্যে পার্থক্য প্রায় দুই শতাংশ। নিয়ম অনুযায়ী, পার্থক্য দুই শতাংশের মধ্যে থাকলেই একক বিনিময় হার বলা হয়।
প্রতিনিধিদলের এবারের সফরের সঙ্গে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ প্রাপ্তির সম্পর্ক নেই বলেও জানান মেজবাউল হক। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরে আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসবে। বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের শর্তানুযায়ী যেসব সংস্কার কার্যক্রম চালানোর কথা, সেগুলোর কিছু বিষয় সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে। প্রতিনিধি দলের পর্যালোচনার পর দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় চূড়ান্ত হবে।
ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এবারের সফর শেষ হয়েছে আজ রোববার। এর আগে সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমাপনী বৈঠক করে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে আইএমএফ-এর কাছে ঋণের আবেদন করে বাংলাদেশ। দীর্ঘ আলোচনা শেষে জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। এর পরের মাসে প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার ছাড় করা হয়। অক্টোবরে পরের কিস্তি ছাড় করার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন