কার্যক্ষেত্রে পুরনো ধ্যান-ধারণা পরিহার করে আধুনিক প্রযুক্তি, কারিগরি জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। পাশাপাশি সেবা প্রদানে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থীকে দ্রুত বিচারিক সেবা দিতে বিচার বিভাগকেও এগিয়ে যেতে হবে। বিচারকদের চিন্তা-চেতনায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে হবে।

শনিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সিনিয়র সহকারী জজ এবং সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনন্ত্রী বলেন, সারাদেশের আদালতগুলোর মামলাজট কমিয়ে আনতে সব ধরনের অস্ত্র (উপায়) সরকার ব্যবহার করছে। বিচারকদের পদায়ন এবং বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তির মাধ্যমে মামলাজট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। মামলাজট কমিয়ে এনে ন্যায়বিচার কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে সবসময় নিজেকে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। তাছাড়া কোনো ব্যক্তি এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না। সেজন্য সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে বিচারকদেরকে নতুন নতুন আইন, জুডিসিয়াল সিদ্ধান্ত, পরিবর্তিত কর্মপরিধি ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে হালনাগাদ থাকতে হবে।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা জনগণের সেবক। তাই আমাদের জবাবদিহিতার মূলে রয়েছে জনগণ। তাদেরকে সেবা প্রদান, আমরা কে, কত সুন্দরভাবে পালন করতে পারি, তার ওপরেই নির্ভর করে আমাদের সুনাম ও প্রতিষ্ঠানের সফলতা।’ জনগণকে সেবা দিতে না পারলে নিজের ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।