প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আইএমএফ তাদেরকেই ঋণটা দেয়, যাদের ঋণটা শোধ করার সক্ষমতা থাকে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এতটা অনাথ হয়নি, আর কেউ অনাথ হয়ে গেলে কিন্তু আইএমএফ ঋণ দেয় না। দেওয়ার মতো সামর্থ্য আছে বলেই আমরা নিয়েছি, এটা হলো বাস্তব কথা। এই কথাটা সবাই মাথায় রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পারতপক্ষে কারও কাছে হাত পেতে চলতে চাই না। যত পারি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে। এজন্য সংবাদ সম্মেলন থেকে আমি সবাইকে আহ্বান করব, যার যেখানে যতটুকু জায়গা আছে, আবাদ করুন। নিজের খাবারের ব্যবস্থা নিজে করুন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারা (আইএমএফ) তো আমাদের অর্থনীতির আমাদের সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসাও করেছে।’

ত্রিদেশীয় সফরে গত ২৫ এপ্রিল জাপানের রাজধানী টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে জাপান ও বাংলাদেশের  মধ্যে আটটি চুক্তি হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৯ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।